ভিন্ন পথে, ছিন্ন মনে--
হেঁটেছি আজ নিম্ন মুখে।
কাতর চোখে, আতর মেখে--
জড়িয়ে চাদর আকাল বুকে।
শূন্য হৃদয়, পূর্ণ করে--
ধন্য তোমার সাধের জীবন!
সিক্ত মাটির, তিক্ত বিষাদে-
আসুক তোমার দীপ্ত মরণ।
চিতল বুকের শীতল সুখে--
চেনাও হোক পিতল যত!
অবুঝ শিশু সবুজ ঘাসে--
খেলছে খেলুক ইচ্ছে মতো!
চুল ছিঁড়ে, ভুলও খুঁজি--
তবুও কারা ফুল ভাবে?
স্মৃতি এলেই ইতি টানি--
তবুও কেন স্মৃতি আসে?
পান খায়, গান গায়--
দুচোখে তবু কেন বানডাক?
ম্লান হয়, প্রাণের ভয়--
সর্বহারা মনটুকুই ত্রাণ থাক!
কথা বুকে, মাথা ঠুকে--
উড়েও যাক ব্যথা যত!
দূরে'ই গিয়ে, ঘুরে ফিরে--
জ্বলছে পুড়ছে আরও কত!
গরম মেজাজ, নরম হলেও--
আগেই ঘটে, চরম বিপর্যয়।
নীরব মন, পারদ ছলেও--
তেড়ে আনে বৈভবের নয়ছয়।
সাদা মনে কাদা দিলে--
আমার কোনো দাদা'ই নেই!
খালি পেটে, বালি খেলে--
বাড়তি হজম থলি'ই নেই।
কালো পিচে আলো নেই--
আজ কেউ ভালো'ই নেই।
মান বড়ো, হুশ নেই--
তবু কেউ, থেমেই নেই।
দুরন আছে, ঘর নেই!
তালা আছে, চাবি নেই--
মন আছে, মানুষ নেই!
পাওয়া আছে, দাবী নেই।
আর কেউ ভালো নেই।
আছে শুধু, লোভী-কামি পাপী-তাপি--
হায়না, চিল, শকুন আর!
বহরুপী, রক্তচোষা, সুযোগ সন্ধানী,
ঝিল দেশে নীল বেশে--
উড়ে যাওয়া হাতের তালুকদার।
শাসন, শোষণ, লাল চোখে--
লুণ্ঠিত নগ্নতায় মৃতপ্রায় সমাহার!