ভেবেছি, এবার থেকে সম্মান না পেলে--
যাবো'ই না! -- সকল সঙ্গ ছেড়ে দেবো।
কী আর হবে, এতো সঙ্গে থেকে?
যা হওয়ার তাই'ই হবে। -- দেখে নেবো!
সঙ্গ দোষে'ই লোহা ভাসে! - মানুষ হাসে--
মন খুলে আমি'ও হাসি! - ভালোবাসি হাসতে!
নরেনের চা দোকান - পাশে ইস্কুল মাঠে--
সবুজ ঘাসে বসা বখাটে ছোকরাদের বলবো--
এবার থেকে আমায় দেখলে'ই যেন--
তারাবাতী দিয়ে আমার মুখ পুড়িয়ে দেয়!
তবে প্রশ্ন কোরো না নন্দিনী! -- কেন?
বৃথা কিছু অনুভূতির শব্দ জুড়ে অপব্যয়!
নদীর মতো ভাঙতে গড়তে গড়িয়ে যাচ্ছি--
কখনো ভাঁটার টানে, কখনো উজান স্রোতে!
নাবিক হয়ে জীবনের নাব্যতা মেপে নিচ্ছি!
কত রঙীন স্বপ্ন রঙহীন! মরছে অপঘাতে!
বেশতো এবার থেকে সম্মান না পেলে--
ভাববো'ই না! - ভাবতে আমার বয়ে'ই গেছে!
এক লহমায় আমিও, - সব ভুলে মেরে--
একলার পথে একাই হাঁটতে শিখবো এবারে--
শিশুর মতো, মূর্খের মতো, কবির মতো!
যদি দেখি সম্পর্কেও গুরুত্ব কমে গেছে--
এক আকাশ দূরত্ব আমিও বাড়িয়ে নেবো।
নন্দিনী, তুমি আবার অবহেলা শুরু করলেই--
ভেবেছি আমিও এবার মূল্যায়ন কমিয়ে দেবো!
দৃঢ় বিশ্বাসের অদৃশ্য প্রাচীর ভেঙে দিলেই--
আমিও এবার সতর্ক হয়ে চলতে থাকবো!
ভাঙা আয়নায় মুখ আর কেনইবা দেখবে?
ওই হৃদমাঝারে যখন দোলা দিতেই পারিনি!
খাঁচায় বন্দি রেখে কিই'বা হবে নন্দিনী?
উড়াল দিতে চাইলে, - তুমিও উড়তে পারো!
তারায় তারায় সব সম্পর্ক ভেঙে নেবো।
ভালোবাসা না পেলে, - আবেগ বিসর্জন দেবো!
আগলে না রাখলে, -- আলগা হয়ে যাবো।
মনুষ্যত্ব না থাকলে, -- বিবেকটুকু জাগ্রত করো!
অত্যাচারী হলে নন্দিনী লড়াই করতে থাকো!
নীরবে না সয়ে, -- তুমিও রুখতে শিখো।
বিরঙ্গনা না হলে, -- বিরহের চাদর মুড়ে--
কিছু চকিত ভালোবাসা তুমি গচ্ছিত রেখো!
একদিন টাকা হলে সবগুলো কিনে নেবো!
ভালোবাসাকে বাজারে বিক্রিত পণ্য ভাবলে--
ভুল ধারণা অবশ্যই তুমি ভেঙে দিও,
দিন শেষে ক্ষমা করাকে দূর্বলতা ভাবলে!
সমীচীন জবাবটুকু তুমি দিও কিন্তু নন্দিনী।
সে ধনী কিংবা সুশ্রী না হলেও--
মনের বিশালতায় আগুন রঙে রাঙিয়ে নিও!
আর নিছকই সে এক চরিত্রহীন হলে--
নিজেকে নাহয় আবার একলার করে নিও।
ভেবেছি, এবার তাই সম্মান না পেলে--
যাবো'ই না! -- সকল সঙ্গ ছেড়ে দেবো।
কী আর হবে, এতো সঙ্গে থেকে?
যা হওয়ার তাই'ই হবে। -- দেখে নেবো!