মনোহরী যুবতী, চঞ্চলা, রূপসী বিদিশা--
মহিয়সী বিদুষী, - নটোরের সুশীলা বনলতা!
তোমার চোখে, - চোখ রেখেছিলেম বলে--
আজ আমি, - রূপসী বাংলার জীবনানন্দ।
মনের মাঝে, - ইচ্ছে যে ছিলো--
আরো, - আরও বেশকিছু একাকী সময়!
তোমার স্থির, মগ্ন, শান্তালু চোখে--
ছাপোষা বয়সী, চোখ দুটোকে রাখবার।
ইচ্ছে ছিলো, মায়াবী জাদুকরী ঠোঁটে-
ঠোঁট দুটোকে ছুঁইয়ে, ঊষ্ণ প্রেমে--
ক্ষণিক চুম্বন চিহ্ন, এঁকে দেখবার।
আরও বেশকিছু অন্ধকারে প্রতীক্ষিত সময়!
আবারও আমি,-- হেঁটে'ই যাবো নাহয়--
কাজল কেলী, সফেন প্রবাল চোখে--
নতুন করে আবার আমি মহাসুখে--
স্বপ্ন দেখবো, -- শুধু নিজেকে হারাবার।
সূর্যের দীপ্তির মতন প্রখর তেজে--
জীবাশ্মের মতো পুড়ে ছাই হয়েছে!
"লজ্জা"নামক শব্দটি বিচ্ছেদ ঘটিয়ে!
মিলন ঘটিয়েছে শুধু চোখের পাতায়!
বনলতা সেন, -- আরও বেশকিছুটা সময়--
তোমাকে ভালবাসার খুব ইচ্ছে ছিলো!
কিন্তু আমার সাহসহীন ভয়ার্ত হৃদয়--
পরাজিত করতে পারেনি প্রতিপক্ষ লজ্জাকে।
তাইতো তোমার চোখে চোখ রেখেও--
বনলতা, - কখনো তোমার হতে পারিনি!
হয়েছি শুধু, - এই রূপসী বাংলার!
কিন্তু কখনো - হতে পারিনি তোমার!
আজ যেন সমস্ত দিনের শেষে--
শিশিরের শব্দের মতন সন্ধ্যা আসে!
ডানায় রৌদ্রের গন্ধ মুছে শঙ্খচিল--
ছেঁড়া পাণ্ডুলিপি, জোনাকির রঙে ঝিলমিল!
আজও পৃথিবীর রঙ নিভে গেলে--
সব পাখিরাও ফিরে আসে নীড়ে!
পড়ে থাকে শুধু একাকিত্বের অন্ধকার--
দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ে ছাই প্রেম-অহমিকার--
ফুরায় যেন জীবনের যত লেনদেন--
মুখোমুখি বসে থাকে বনলতা সেন !
বনলতা সেন, -- আরও বেশকিছুটা সময়--
তোমাকে ভালবাসার খুব ইচ্ছে ছিলো!
কিন্তু আমার সাহসহীন ভয়ার্ত হৃদয়--
পরাজিত করতে পারেনি প্রতিপক্ষ লজ্জাকে।
আজও চোখে চোখ রেখে আমি--
বনলতা, - কখনো তোমার হতে পারিনি!