আমাকে আর উঁচিয়ো না তর্জনী--
এখন আমিও বৃদ্ধাংগুলি দেখাতে জানি।
বহুকাল তো আমি রক্তচক্ষু সয়েছি--
কাঙ্ক্ষিত অনামিকার বিসর্জন আমি দিয়ে।
গ্রামের পর গ্রাম হামাগুড়ি দিয়েছি --
অন্ধকারে বিষধর সাপের মুখোমুখি হয়ে !
গলা টিপে ধরেছে সমাজের পুঁজিবাদ--
দমাতে পারেনি আমায় সুবিধাবাদী সাম্যবাদ।
আমাকে তাই দেখিও না তর্জনী
চোখে চোখ রাখতে আমিও জানি।
অপেক্ষার নেই কোনো ঘুঘু দুপুর--
বালিকার পায়ে নেইতো কোনো নূপুর।
নেই সেই বিলের ধারের হিজল গাছ--
পথেও নেইতো সাঁঝবাতির সন্ধ্যে সাজ।
আমাকে তাই উঁচিয়ো না তর্জনী--
এখন সময় অসময় আমিও জানি।
গুপ্ত ঘাতকে পিঠ পেতে দিয়েছি-
চাতকের জল চাওয়াও ভুলিয়ে দিয়েছি!
আমাকে তাই দেখিও না তর্জনী--
তৃষ্ণাঞ্জলীর নৈবেদ্য সাজাতে আমিও জানি।
ক্ষুধার্ত মানুষ যখন ভুলে গেল--
প্রেমের ভাষা ফসলের ক্ষেত হল।
ধু-ধু মরু বালুচরে নগ্ন হল রাষ্ট্রসন্ধি--
পরনের কাপড় খুলে নিল রণ-চন্ডি।
লোভ লালসা আজ মিলেমিশে একাকার--
নেইতো ভয় আর কোনোকিছুই হারাবার।
আমাকে তাই দেখিও না তর্জনী--
মধ্যমা প্রদর্শন এখন আমিও জানি!