কেন জানি এখন তোমাকে বাদ দিলে-
আমার আর কিছুই ভালো লাগে না।
ওই স্নিগ্ধ ভোরের নরম আবছা আলো,
হিমেল হাওয়ায় ফুলের গন্ধ, মোরগের ডাক,
জল খাবারের টেবিলে বসে বন্ধুদের আড্ডা,
নিমন্ত্রণ, সব যেন আজ এবড়ো খেবড়ো।
তুমি যে নেই! - এই খবর যেন,
আমাকে আমার হতে দেয়না এ হেন?
মাথায় উপর আস্ত আকাশ ভেঙে পড়ে!
ব্রাও স্রোতের ভেতর আমাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে,
এমন এক গভীর গর্তে তলিয়ে দেয়!
উঠতে গিয়ে দেখি, - আমি পেছন থেকে,
যেন স্মৃতি বাহন দুঃখ হয়ে গেছে।
আমাকে জোর করে তবু টান মেরে
ঢুকিয়ে নিচ্ছে আরও গভীর থেকে গভীরে।
কেন জানি এখন তোমাকে বাদ দিলে,
আমার আর কিচ্ছু ভালো লাগে না।
ওই বিষন্ন দুপুরের যত নাওয়া খাওয়া,
বিকেলে লালচে আবির হওয়া মলিন সূর্য।
আর সন্ধ্যায় সেই বাড়ি ফেরার পথ,
ঘর যেন আজ বিশাল এক আগ্নেয়গিরি।
এখন আর তোমাকে বাদ দিলে নন্দিনী!
ভালো লাগে না রাতের কৃষ্ণপক্ষ চাঁদ।
খেতে গেলে আটকে আসে যেন দাঁত!
গলা দিয়ে ভাত আর নামে না!
জল খেতে গিয়ে বিষম লেগে যায়।
ঘুমের চোখে আর ঘুম না এসে-
খালি খালি তুমি এসে পড়ো যে।
এখন তোমাকে বাদ দিলে কেন জানিনা--
আমার আর ফুলও ভালো লাগে না,
পাখি প্রজাপতি কিচ্ছু ভালো লাগে না;
ভালো লাগে না বিশাল সমুদ্রের ঢেউ,
পাহাড় থেকে আজ মুগ্ধতা না এসে,
আনকোরা দুঃখ দুঃখ স্বাদ ছুটে আসে!
একা বাঁচতে শিখো প্রিয় - গানও অসুখ।
তোমাকে বাদ দিলে পৃথিবীরটা একটুকরো নরক।