এই যে, কথায় কথায় কাছে আসো--
কাছে এসে'ই নানা অছিলায় জড়িয়ে ধরো!
কামুক চোখে বুকের 'পরে চোখ রাখো--
কাঁপা কাঁপা লবঙ্গ লতায় স্পর্শ করো।
এই যে, প্রবল উত্তেজনায় ফুটতে থাকো--
ফুটতে ফুটতে বুকে আগুন জ্বালিয়ে রাখো!
ঘন ঘন দীর্ঘশ্বাসে নাভি-নিতম্ব ছুঁয়ে দেখো।
মাঝে মাঝেই ঠোঁট দুটোকে চাটতে থাকো--
চোখ দুটো কেমন অস্থিরতায় নাড়তে থাকো।
শরীর 'পরে লোলুপ দৃষ্টি সদাই রাখো।
পারোনা থাকতে স্থির হয়ে ধৈর্য্য ধরতে?
পারোনা চোখ দুটোকে তুমি চোখে রাখতে?
কথায় কথায় স্পর্শ করো ঊরু, জঙ্ঘা--
এই কী চির অমর প্রেমের সংজ্ঞা?
যার অপেক্ষায় মানুষ একাকী বাঁচতে পারে?
এর জন্যই জীবনটাকে ত্যাগ দিতে পারে?
নাহ! - এটাকে তুমি অন্তত প্রেম বলোনা।
এটা যে, - প্রেমের নামে শুধুই ছলনা।
শরীরটুকু এখন তোমার কাছে অতি প্রিয়--
অন্যকারো ছোঁয়া লাগলেই তো হবে অপ্রিয়।
কলঙ্কিত জীবন থাকবে পড়ে একলা ঘরে--
ভুলেও কভু ঠাঁই হবেনা তোমার শ্রী-ঘরে।
এই শরীর তো, রাখা তোমার তরে--
এই শরীর পাওয়াও যাবে ভালোবাসলে পরে।
তোমার শরীর পরে আছে আমার টান--
কিন্তু আগে যে, - মেলাতে হবে দুটি-প্রাণ।
চোখে চোখে,কাছে-দূরে, বিরহে, সুখে, দুঃখে--
ভালোবাসার আবেগ দিয়ে জড়িয়ে থেকো বুকে।
আজ শহর জুড়ে দেহরূপী প্রেমের বানভাসি--
ছলনার ছলচাতুরী স্বার্থ চরিতার্থে মানুষ সর্বগ্রাসী
প্রেমিক সেতো লুটছে কিশোরী লাবণ্যের মধুগঙ্গা
প্রেম নাকি ছাই! প্রেমিক প্রেমিকাও লবডঙ্কা।
প্রেমে রয় যাতনা, - প্রেম হানে বেদনা!
প্রেমে থাক চেতনা, - প্রেম মানে সাধনা।
প্রেম আনুক গৌরব, - প্রেম হোক সুবাসিত।
ছড়াক সৌরভ, - দেহরুপী প্রেম করে কলুষিত!