একে তো রীতিমত খাচ্ছি কোটার বাঁশ--
গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া সব প্রশ্ন'ই ফাঁস।
অনার্স, মাস্টার্স, পি-এইচ-ডি সব হয়েছে নাশ!
প্রকৃত মেধাবী পথে'ই পড়ে জীবন্ত লাশ।
কলেজে দেখি বাবার কোটা ছেলে পাচ্ছে--
ছেলের পরে ফলটা নাতিও দিব্বি খাচ্ছে।
আর নাতির পরেই পুতি, তারাও খাবে--
হোকনা বঞ্চিত জাতি! কী আর হবে?
সেইতো চাইবে, বাবার কোটা, দাদার কোটা,
কেন, তোমরা কী সব শিক্ষিত পাঁঠা?
ভেবেছো কখনো মামার অভাব রয়েছে যার?
সমাজে তার বেঁচে থাকার কতটুকু অধিকার?
লেখাপড়া করবে, করুক! বঞ্ছিত ওরা থাকবে!
চাকরির স্বপ্ন মিছে কেন, কুঁড়েঘরে দেখবে?
বাবার টাকা নষ্ট করে শিক্ষিত হতে--
কি আর লেখাপড়া দরকার তোমার মতে?
সেই যখন চাষার ছেলে চাষাই থাকবে--
সমাজে মুদির ছেলে মুদিই হয়ে বাঁচবে!
তাহলে শিক্ষার বড়াই করে কী হবে?
মূর্খ কোটাদার বড় পদেই চাকরি করবে!
অথচ যুদ্ধ করলো তোমার বাপ ঠাকুরদা--
আর তোমরা ঘরে বসেই লুটছো ফায়দা।
একদিন যে বৈষম্য নীতি দূর করতে--
দেশ ক্ষেপে ছিল স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে।
রক্তের বন্যায় ভেসে, স্বাধীনতা তো এলো--
কিন্তু সেই বৈষম্য আজন্ম রয়ে'ই গেলো।
ধীরে ধীরে নাতি পুতিরা কোটা পেলো--
মেধার নূর দেখলাম কটকটে কালো হলো।
আমি আশ্চর্য হলাম! জাতিকে কোঠায় দেখে-
চমকে উঠলাম। বিকৃত কোটা বিক্রিত দেখে!
যোগ্যদের দূরে রেখে দেশে হয়না উন্নতি--
মামার কোটাই চাকরি দিলে বাড়বে দুর্নীতি।
এসো জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যত!
মক্ষিকা হয়ে'ই এগিয়ে যাও, পথে ঐরাবত।
ভয় নেই! ভয় নেই! - এইতো সুযোগ--
রাঙা আলোয় মুছে দাও কোটার দুর্যোগ।