মানুষ বড় বিষাক্ত! - অথচ তাঁরাই প্রকৃত--
বন্ধু হতেই পারে, - কারো কাছে নিষিদ্ধ!
গোঁয়ার একরোখা একগুঁয়ে জটিল কুটিল মূর্খ!
প্রেম, প্রীতি, প্রণয়, - মানুষই খোঁজে মহার্ঘ্য।
পরিস্থিতির চাপ, - নাম বদলে চরম শত্রুতায়।
বরফের বিছানাতে সর্ম্পকও পুড়ে হয় ছাই।
ঠুলি পরা সমাজ, - তবুও সামাজিক ভয়!
রঙীন চশমাই সবকিছু রঙীন মনে হয়।
ঘোলাটে চোখ আজও কারসাজি পছন্দ করে।
মানুষই রূপভেদে মানুষের আসন গ্রহণ করে!
আপন সুখে, পৃথিবীর বুকে খেঁয়া বেয়ে--
এগিয়ে চলে এক নির্জন অচেনা প্রবাল-দ্বীপে।
গ্লাসের স্থির জলে, নগ্নতা ঢাকার লজ্জায়--
শুভ্র-বরফ টুকরো গলিয়ে জল করে খাই।
মহাকালের শব্দ-ধ্বনি কানে যেন টিক টিক--
তসলিমার মতোই আমি যে বেশ আপেক্ষিক!বেলা-অবেলায় যেন শব্দ দিয়ে তবু পরিণীতা,
চাতক ঠোঁটেই মেপে নিচ্ছি সবটুকু উষ্ণতা!মধুকরী ঠোঁটের স্পর্শে পৌরুষত্বের নেশা ধরে!
মহুয়ার নেশাকে ক্রমশঃ সে ফিকে করে।
আসক্তির ভাগ্য লিখনে যেন নিষ্ঠুর পরিহাস!
বিষমাখা তির আঘাতে আহত এক বুনোহাঁস,
কাঁটাতারে ঝুলিয়ে জানতে চাই শেষ অভিলাষ।
কালো সুরমা দিয়ে লেখা সভ্যতার ইতিহাস।
কালো বুটে পিষে দেয় মানুষের সাম্যবাদী!
মানুষ শুধু সাক্ষী -- অথচ মানুষই অপরাধী।
কাঠ পুতুল হয়ে মানুষ ভালোবাসার আশায়--
হাতের তালুকদার হয়ে ঘোরে থাকার নেশায়।
আজ মানুষ যে শুধুই আসক্তি চাই--
আরও কয়েকশো গুণ বেশি আসক্তি চাই!