আজন্ম আমি তো আর নষ্টা মেয়ে নই--
ফুলের মতো নিষ্পাপ ফুলকুমারীও আমি নই!
তবু তো আমার যৌবন কলঙ্কিত হয়েছে--
ভদ্র সমাজের অধিপতির বিষাক্ত নখের দাগে!
সবটুকু ভোগ করেও আবার নরপশুগুলো--
নামের সঙ্গে দিয়েছে আমায় বেশ্যার উপাধি।
মায়াবী রাতের আলো আঁধারি কানা গলিতে--
স্তব্ধ বিষণ্ণ তপ্ত নির্জন দুপুরে ওরা চিলেকোঠায়
জানোয়ারের মতো ছিঁড়ে খেয়েছে এই দেহটাকে
মিটিয়েছে ওদের যত সব শারীরিক ক্ষুধা জ্বালা
তবে এখনো আমার শরীর জুড়ে লেগে আছে--
কত শত ক্ষত বিক্ষত বিষাক্ত নখের আঁচড়!
খামচে ধরা মুঠো ভর্তি ধূলো মাটি! -- আর--
সিগারেটের ফুলকী আঁকা ছোপ ছোপ দাগ।
পড়ে আছে সেই রক্তাক্ত ছেঁড়া শাড়িটাও!
অথচ তাঁরা আজও ঘুরে বেড়ায় স্বাধীন ভাবে--
বাবু সেজে সমাজের ওলিগলিতে দেখতে পাই।
ওরা যে সব সমাজের পয়সাওয়ালা দামি মানুষ
তাইতো ওদের হাত ধরেই হয় নতুনের সূচনা।
অপরাধের প্রতিবাদে কেউ আওয়াজ তোলেনি,
মাথা উঁচিয়ে সাহস জুগিয়ে কেউ সত্য বলেনি!
মৃত্যু ভয় ওরা যেন বেঁধে দিয়েছে এই দু-চোখে!
কেউ যেন কিচ্ছু দেখেনি, -- কিচ্ছু শোনেনি!
যুগে যুগে জানিনা আরও কত শত নারী--
এভাবেই আটকে যাবে ওদের সাজানো জালে।
রেহাই পাবে না কি কেউ ওদের ছোবল থেকে?
না ওঠে কোনো প্রতিবাদী কন্ঠস্বর.- তাই তো,,,
আমায় বেঁধে রেখেছে এই চার দেয়ালের মাঝে,
সবাই বলে, - " আমি নাকি নষ্টা নারী! "
' আমার ছায়ায় কলন্কিত হয় নারী সমাজ। '
তবে আজন্ম তো আর আমি নষ্টা মেয়ে নই--
ফুলের মতো নিষ্পাপ ফুলকুমারীও আমি নই!
তবুও তো আমার যৌবন কলঙ্কিত হয়েছে--
ভদ্র সমাজের অধিপতির বিষাক্ত নখের দাগে!
সবটুকু ভোগ করেও আবার নরপশুগুলোই--
নামের সঙ্গে দিয়েছে আমায় বেশ্যার উপাধি।