নারী যেমন এক পুরুষের স্পর্শ পেলে,
আপন পুরুষকে ভুলে যাওয়া তার ধর্ম!
ষোলোকলা পূর্ণ হলেও সে সুযোগ পেলে,
নতুনত্বের স্বাদ গ্রহণ লোভে করবে পরকীয়া!
নারী যে বোঝেনা পরকীয়া আসলে অপকর্ম!
নারী যে প্রথম পুরুষের স্পর্শ ভোলেনা।
ঠোঁটের কলঙ্ক তোমার ঠোঁটে এঁকে দিলেই ,
তুমি যে আর ঘূনাক্ষরেও আমার হবেনা।
গত শীতেই চোখ রাঙিয়ে তুমি যে
ছলনাময়ী নারী আজ অন্যের হয়ে গেছো।
ঠিক যেন শীতের চাদর বদলানোর মতো,--
নারী এখন যাদের প্রেমিক বদলানোর স্বভাব,
তাদের আর লায়লা মজনুর প্রেম কাহিনী,
শুনিয়ে নেই তো কোনো লাভ আর।
নষ্টামি মনের মধ্যে সুপ্ত থাকলে যে,
বোরখা পরেও নারী তুমি নষ্টামি করবে।
আমি এখন বেশ বুঝি, আমি জানি,
নষ্টারা যে কখনো কান্না বোঝে না,
আবেগ তাদের কাছে জলের দরে সস্তা।
এখন তবে বেশ বুঝি, আবেগ দিয়ে,
ওই দু-চার লাইন ব্যর্থ কবিতা হলেও,
ভয়ানক নারী প্রজন্মে এখন সংসার হয়না।
আচ্ছা তুমি আমার প্রেমিকা বলার আগে,
তুমি তো আমায় বন্ধু বলতে শিখো।
যার সাথে সম্পর্কে আছো তাকে বোঝাও,
পৃথিবীতে নিয়তি নামে একটা খেলা আছে।
নিয়তি যদি আমাদের এক নাও করে,
তবুও আমাদের অমূল্য বন্ধুত্ব বাঁচিয়ে রেখো।
'তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না',
ভুলেও তুমি আর কখনো বলো না।
এবার তুমিও তাকে শেখাও, তাকে বোঝাও,
নিয়তি না চাইলে, একাই থাকতে হয়।
খাঁচায় বন্দি হলেও, তুমি সুখে থাকবে।
তুমি সুখে থাকলে মুখে হাসি থাকবে।
আর আমার মনে বেশ শান্তি থাকবে ।
কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর ভেঙে গেলে দেখবে,
শেষ সম্বল ওই ভিঁটেমাটিটাই পড়ে থাকে।
নাহয় তুমি সেই ভিঁটেমাটি আঁকড়ে ধরেই,
আবার নতুন করে ঘর সাজিয়ে নেবে।
সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একই, বিচ্ছেদ হয়ে গেলে,
কিছুতেই তোমার সম্মান হারাতে দিয়ো না।
সম্মানটুকু আঁকড়ে ধরে তুমি বেঁচে থেকো।
মানুষ মরে গেলেও ভালোবাসা মরে না ।
তবে কারো ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়োনা।
প্রিয় সময় একটা সময় পর প্রিয় থাকেনা।
বৃষ্টিতে কিছু সময় একাই ভিজতে হয়।
সবসময় কেউ একজন মাথার ওপর ছাতা ধরবেনা।
জ্বর চুমুতে সেরে ওঠেনা, এন্টিবায়োটিক লাগে।