আকাশে এখন একটিমাত্র তারা জেগে আছে!
রাতের স্বাক্ষী হয়ে মিটমিট করে জ্বলছে!
অন্ধকার কালো ছায়ারা যেন গ্রাস করেছে-
নীল পৃথিবীর ঘুমন্ত শতশত আলোক ছটাকে!
হারিয়ে ফেলেছি মধ্যরাতেই অলীক স্বপ্ন ঘুম।
বিষাদ যন্ত্রণায় সাপের মুখে যেন ব্যাঙ-চুম!
পেঁচার মতন দু-চোখ চেয়ে প্রহরী সেজে-
নতুন ভোরের অপেক্ষায় রয়েছে শুধু জেগে!
চাঁদের কলঙ্ক মেঘ বালিকার বুক জুড়ে-
জোৎস্না রাতের মহা মায়াকে নিয়েছে কেড়ে!
পাড়া হয়েছে শান্ত, কুকুর ডাকে অদূরে-
ঝিঁঝিঁ হয়েছে ক্লান্ত নিষিদ্ধ করুণ সুরে!
জোনাকী লাগা প্রেম যেন আজ ধ্রুবতারা-
এক আকাশের নীচে প্রেমী হয়েছে দিশেহারা!
টেবিলের এক কোণে ধূসর পান্ডুলিপি পড়ে-
যতটুকুই অবশিষ্ট, জমানো স্মৃতির পাতা জুড়ে!
কালবৈশাখী ঝড়ে একদিন সেটুকুও গেল উড়ে।
হারিয়ে ফেলেছি যেন, এক ভিন্নপথ চেয়ে-
পাখির মতন নরম করুণ ডানা পেয়ে!
বিষাদ বেড়ি ছিঁড়ে, পাখিটা উড়তে চেয়ে-
মুক্ত মন মুক্ত ডানায়, মুক্ত আকাশে,
শুভ্র তুষার যেন পারিজাত শতদল ছুঁয়ে!
সে যে একখান তরী ভাসাতে চায়!
কাগজের নৌকাডুবি যেন হাঁটুর কাছে ঠাঁয়!
পাখিটার ভীষণ শখ ছিল উড়ে যাওয়ার!
বৃষ্টি হলে'ই বকুল ফুলে মালা গাঁথবার!
যুবতী হয়ে মালা ভাসিয়ে গাঙের জলে!
তবু তারাটি খসে পড়েছিল চোখের তলে!
খোঁপার চুলে কৃষ্ণচূড়া কিংবা সাদা বেলি-
মল্লিকা চাঁপা জুঁই আর নয়তো চামেলি!
আকাশে এখনও একটিমাত্র তারা রয়েছে জেগে
রাতের স্বাক্ষী হয়ে মিটমিট করে জ্বলছে!
অন্ধকার কালো ছায়ারা যেন গ্রাস করেছে-
নীল পৃথিবীর ঘুমন্ত শতশত আলোক ছটাকে!
পেঁচার মতন দু-চোখ চেয়ে প্রহরী সেজে-
নতুন ভোরের অপেক্ষায় রয়েছে তবু জেগে!