কেমন দুর্গন্ধ আজ,যেথা সভ্যতা সুবাস মাখে,
কেন পৃথক সারিতে ক্ষুদ্র-বৃহৎ নিজেকে ঢাকে?
মানুষ-মানুষে বিভাজনে আঁধারের অন্তরালে-
হৃদয় গিয়েছে ভরে,নিত্য কালে ঘৃনার জঞ্জালে।
ফসল ফলিয়ে মাঠে,চাষী ফেলেছে মাথার ঘাম,
সমাজের মূল্যায়নে পেলনা তার সঠিক দাম।
পথের মাঝে শ্রমিক মরে অসম্পূর্ণ স্বপ্ন রেখে,
পাশ কাটিয়ে মানুষ চলে;দেখেও যেন না দেখে!
কেবল মাত্র পোশাকে,কর্মে,শিক্ষায় মেলে সম্মান!
আর যারা মাটি মাখে,তাদের জুটেছে অপমান।
হে মনুষ্যত্বের দেব,তুমি কি কবরে করেছ শয়ন?
মিথ্যা অন্ধ-অহংকারে হারিয়েছ কি দুই নয়ন!
তুমি কি দেখেছ,আমি যা দেখেছি হৃদয়ের টানে,
তুমি কি হয়েছ দুখি,নিরীহের মান-অভিমানে?
আমি দেখেছি তাদের,বৃষ্টি-বাদলে বর্ষার রাতে,
নিদ্রারত ছেলে-মেয়ে গুলির কেমন ধারা কাটে!
শিরা-উপশিরা রক্ত জমিয়ে-কুয়াশা ভরা শীতে
মজদুর ছুটে চলে,সবার কর্মে জোগান দিতে।
দাবদগ্ধ গ্রীষ্ম কালে পিপাসা কাতর কলিজায়-
উলঙ্গ পায়ে এগিয়ে চলে,জান যায়-প্রাণ যায়!
সভ্য মানুষ যন্ত্রের সাথে করেছে জীবন ক্ষয়,
হারিয়ে হৃদয় তার,হয়ে গেছে অজ্ঞান-নির্দয়!
সুখের জীবন ফেলে,প্রতিদিন জল-কাদা মেখে,
দেখ না বন্ধু ভাষণ ছেড়ে তাদের খাবার চেখে।
দেখ না একবার ঘুমিয়ে তাদের ছোট্ট ঘরের মাঝে,
দেখ না পোশাক জড়িয়ে গায়ে,তাদের মতন সাজে।
কাব্য করে,গল্প সেঁধে,ভরিয়েছি গাথা দিবা-রাতি,
এমন হলে কেমন করে চিত্ত হবে সমব্যথী?
নিজের বলে ভাবোনি তাদের,মনের মাঝে ভুলে,
অভিনয়ে হারিয়েছ আজ আসল মুখোশ খুলে।