এমন রোদের দিনে অমলতাসের ফুল ফোটা খাঁখাঁ দূর বাঁধে
জড়াজড়ি করে এ গাছ-ও গাছ,তার একটু পরে সারি সারি তাল,
শুকিয়ে ঘুমিয়ে ঘাসবন একাকার হয়ে আমার ভিতরে কাঁদে,
তাদের গায়ের গন্ধ পাই,আজ একা-একা কাটে দিনরাত,কাল।
আকাশের কাছে হলুদ বিকালে সেই পাখিগুলো গেছে উড়ে,
আমিও পাখির মতো সারাবেলা বাধাহীন,সন্ধ্যায় এসেছি ফিরে।
ঘন আঁকরের ডালে বসে থাকা পেঁচা তখন ডেকেছে তার সুরে,
এখন ভেঙেছে ঘুম,আমি এখন ব্যাকুল শহরের জন ভিড়ে!
দুপুরে পুকুরে জল ছলছল,এপারওপার বেড়িয়েছি ভেসে,
কাঁচা আম,নীল ছুরি শান দিয়ে রাখা,সাথে পাতায় লঙ্কার গুঁড়ো,
ঢোল কলমির আড়ালে লুকিয়েছি,ঘুমিয়েছি মাটির বিছানা ঘেঁষে,
এখন কবর দেখি চোখে,এইবার বোধহয় হয়ে গেছি বুড়ো!
ক্যালেন্ডার পালটে-পালটে গিয়েছিল যারা,আজ আর নেই কেউ তারা,
তবু কেন কী জানি কী কারণে,নতুন করে কে যেন আমায় ডাকে!
আমি খুঁজি,তবু নেই,কেউ নেই,আমি খুঁজে-খুঁজে বড়ো দিশাহারা!
এমন প্রচণ্ড দাবদাহে তৃষিত হৃদয় এই পহেলা বৈশাখে।