আবার আসুক ধ্বংস !
এই ধ্বংসের মাঝে ডুবে যাক সৃষ্টির যশগাঁথা ।
যত রাজ আছে,যত রাজ ছিল,সবাই রাতের ঘুম কেড়ে নিলো ।
শুধু রেখে গেলো–এক বুক জ্বালা,আসমানী কামানের গোলা
অথবা হৃদয় বিদারী মাতম,তিলক তিলক সুর ।
তাদের মাঝেতে রাজণ্য ব্যাথারা রক্ত-রাজ করে বহুদূর ।
সেই ব্যাথাদের ভোলা গান গেয়ে সবাই আজ ,
মুকুটহীন কোন রাজ– চোখের সামনে গলায় দেবে ফাঁস ।
হায় ! হায় ! এ কী স্বপ্ন,এ কী খোয়াব !
এরা ফাঁসির মঞ্চে দাড়িয়ে কাঁদে শহীদ হলাম আজ ।
কত ইতিহাস আর কত ঘটনা ,“যোগে যোগে” বহুগুণ
সবাই এবার “সব সব” হবে রাজ হবে রাতে খুন ।
একদল হাতে দড়ি নিয়ে এলো,ফাঁস দিলো নিজ গলায় ।
আরেকটা দলের বুদ্ধি বেশি,নিয়ে এলো তলোয়ার -
(তাতে শব্দে টুংটাং,কচি তূণ !)
এরা প্রত্যেকেই মানুষ,কারো মনেতেই মানবতা ছিলনা ;
এরা সব ছিল ভীন-বেদুঈন রাজ নিশাচরী জানোয়ার ।
ওদের কানেতে কান পেতে শোন,ঠোঁট পেতে দেখ হাহাকার ,
চোখ পেতে দেখ অগ্নিলীলা,বুক পেতে দেখ -সবাই জানোয়ার ।
মানুষ তাদের ভাই!তাই আপনজনের মত এরা ঘেউ ঘেউ করে ।
তোরা সে ডাকে পালাতে চাস,তবে যা ।
পালিয়ে যা,চলে যা এমন কোন জায়গায় !
যেখানে কোনো ধূলা-বালি কখনও যুবরাজ দেখে নাই ।
এ মনের হৃদপিণ্ড যতবার থুক থুক করে,
যতবার কেঁশে ছ্যাপ মারে কুণ্ডলী পাঁকানো যকৃতদ্বারে
ততবার তারে প্রশ্ন কর –
“জঙ্গল দেখিসনি আজও ?
তবে তো মনুষ্যত্ব দেখার অধিকার তোর নেই”
তোরা মাজলুম ছিলি তাই রয়ে গেলি ।জিহাদী?
এতো তোর বাবারাও ছিলোনা কোনো কালে !
আরা তাই শুনে ঘেন্নায় নাপিতের ক্ষুর চালিয়ে দিলি -
তোদের বগলের বালে !
সাহস ! থাকলে ঐ ক্ষুরটারে গলায় ঠেকিয়ে দেখা ।
পারবিনা রে , পারবিনা ।তবে চলে যা , দূরে চলে যা ।
ইতিহাসে তোর কোন জায়গা নেই ।বর্তমান – যেখানে তুই দাড়িয়ে,
তার পেছনে তোর ভবিষ্যৎ ; সামনে রাঙা অতীত ।
বড়ই বিচিত্র এ ধরার নিয়ম,বিচিত্র তার আবহাওয়া ।
বিচিত্র ছিলনা যুগে যুগে,হেসে মরা রাজ-রাতেদের পাতা ।
যেখানে প্রসাদের বুকে ঘুম কেনে রাজা,আর ঘুম ছুঁয়ে দেয় –
আসনের তলে বহা রক্তরা তাজা ।
যেখানে তলোয়ার ধারে খুন তীরেদের চোখ ।
আর সৈনিক বুকে বাহিনী রাজার,
কামানের নাকে কোপ তুলে দিয়ে অট্টহাসিতে কাঁপে ।
রচনাকালঃ ১লা কার্তিক , ১৪২১ ।