৫) 'পুনরুক্ত বদ্যভাস' এর কথাটা একটু মজার, আবার একটু তিতাও।
ব্যাকরন মতে একই অর্থবোধক শব্দ যখন পাশাপাশি বসে তখনই পুনরুক্ত বদ্যভাস ঘটে।
তাহলে কি এটি 'দ্বিরুক্ত শব্দ', যেমন- রাশি রাশি , হাসি হাসি ?
কারন এরাও একই অর্থ প্রকাশক এবং পাশাপাশি অবস্থানে আছে।
এক কথায় না! কারন 'দ্বিরুক্ত শব্দ' ব্যবহৃত হয়ে অর্থে ভাবের হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটায় , 'পুনরুক্ত বদ্যভাস' এটি করে না ।

তবে একটি উদাহরন হোকঃ
'তাদের দিকে কেবলা হলো আমার অতীতেরা'
এখানে 'দিক' আর 'কেবলা' একই অর্থ প্রকাশক তবে এখানে কেবলা শব্দটি দ্বারা অর্থের জোর এসেছে ।

৬)ধ্বন্যুক্তিঃসাধারনত অনুকার শব্দের প্রয়োগকেই বলা হয় ধ্বন্যুক্তি ।
এই শাখাটি নিয়ে ব্যাকরনবিদের মতে হাজার মতভেদ রয়েছে । অনেকেই একে অলঙ্কারের শাখা হিসেবে বিবেচনা করতে চান না , কারন এই শাখাটি শব্দতত্ত্বেই আলোচনা করা হয়ে থাকে। তবে আমি তো ব্যাকরনবিদ নই তাই কয়েকজনের কথাও কানে নিলাম।

ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি বিশ্বের সকল ভাষার তুলনায় আমাদের মাতৃভাষা বাংলাতে অনুকার শব্দের প্রয়োগ সবচেয়ে বেশি । কেন? কারন আমরা বাঙালিরা অনেক আড্ডাবাজ তাই, কোন কিছু মাথায় না আসলে আমরা অনুকার শব্দের ব্যবহার করে থাকি । তবে কিছু হয়ে যাকঃ
কিড়মিড়
খকখক
গরগর
ঘটঘট
চকচক
ছ্যাঁকছ্যাক
জ্যাবজ্যাব
ঝকঝক
টনটন
ঠকঠক
ডিগডিগে
ঢকঢক
তড়তড়
থকথক
দগদগে
ধকধক
নড়নড়
পিলপিল
ফটফট
বকবক
ভনভন
মচমচ
রিনিঝিনি
লটপট
সুরসুর
হটহট

(শব্দালঙ্কার পর্ব সমাপ্ত)