হাওয়ার চরম মধুরতা ,
মধুর গন্ধে মন ভোলে ;
ছলাৎ ছলাৎ বৃষ্টির পানি ,
পায়ের তলে তাল তোলে ।
তাল তুলেছে দীর্ঘ সকাল ,
রোদের ঝিলিক দিয়ে ;
খেলা খেলছে রৌদ্র-ছায়া ,
হাওয়ায় ধুলো নিয়ে ।
তাই মেঘের রাগ গিয়েছে ,
আসল আবার ফিরে ;
কালো হল চৈত্রতা ,
হঠাৎ ধীরে ধীরে ।
কালো হল পথ-ঘাট ,
আলো গেলো নিভে ;
গোধুলির ঐ ডাক পড়েছে ,
সূর্য গেল ডুবে ।
দেখা গেল না মেঘের খেলা ,
কোথায় কোথায় খেলে ;
দেখা গেল আলোর নাচন ,
বিজলি চমক দিলে ।
চমক দিল বিজলি আবার ,
চমক দিল জল ;
বৃষ্টি এল হুরমুরিয়ে ,
ধারায় অবিচল ।
মনের শান্ত গহীন কোণে ,
ছোঁয়া দিল হাওয়া ;
এক পশলা জলের ছোঁয়া ,
হলো এবার চাওয়া ।
ছাতা মাথায় শুকনো দেহে ,
বাহিরে পদার্পণ ;
পাজামা শেষে বট্ মেরে ,
শান্ত হল মন ।
ভিজলো এবার শুকনো পা ,
তারই সাথে জুতা ;
মন ভিজলো , গা ভিজলো ,
উড়ে গেল ছাতা ।
পায়ের তলায় তাল তুলিল ,
অবিরাম জলধারা ;
বিজলি এসে মুচকি হেসে ,
হলো মানিকজোড়া ।
থামল হঠাৎ কে জানে ,
গুল্ম , লতা , পাতা ?
বৃষ্টি গেছে তাতে কী !
রয়েছে হাওয়ার মধুরতা ।
#বরষার আয়োজন#