জাপানি হাইকু বা ঐতিহ্যবাহী হাইকু সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জানা উচিৎ জাপানি কবিতার ছন্দবোধকে।
যাকে অনেক সময় "on" বা মোরাসও বলা হয় ।
আমাদের বাংলাভাষীদের জন্য সমস্যা এখানে না বরং সমস্যাটা আরেক জায়গায় ।
সাধারনত জাপানি ভাষার প্রকৃতি বললে বলতে হয় এ ভাষায় কোন যুক্তবর্ণ নেই এবং প্রায় প্রতিটি বর্ণই শেষ হয় "মুক্তস্বর" সহকারে । সুতরাং , এ ভাষায় কথা বলা অনেকটা সোজা । অপরদিকে , জাপানি লিপি তিনধরনের ক) হিরাগানা , খ) কাতাকানা এবং গ) রোমানজি ।
এ লিপিগুলোর মধ্যে হিরাগানাই প্রথম লিপি যাতে জাপানি ভাষা ও তৎকালীন কাব্যময়তা (ঐতিহ্যবাহী হাইকু) লিখিত হয় ; তবে এটা লেখা একটু কঠিন এবং অনেকটাই চীনা লিপি ধাচের ।  
কাতাকানা লিপি লেখাও যেমন সহজ তেমনি দেখতে অনেক পরিষ্কার , এলিপি জাপানি ভাষাবিদদের অবদান ।
আর রোমানজি হচ্ছে জাপানি বর্নকে রোমান অক্ষর দ্বারা লেখা । এটা ব্যবহৃত হয় বিদেশীদেরকে এ ভাষা খুব সহজে আয়ত্তের জন্যে ।

একটু আগেই বলেছি জাপানিতে প্রায় প্রতিটি বর্ণই শেষ হয় "মুক্তস্বর" সহকারে , হলন্ত/হসন্ত নয় । আর একারনে জাপানিতে আমাদের বাংলাভাষার মত এত ছন্দ হয়না , যা হয় তা খুবই সাধারন ।
তাই এ ভাষার কাব্যিকতা প্রাধান্য পেয়েছে নানানভাবে আকার বা আকৃতি দ্বারা , আবার কখনও পেয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের দ্বারা ।

জাপানি তে মোরাস কিভাবে গণনা করা হয় এর সংজ্ঞা এত না দিয়ে বরং একটা হাইকুর (৫,৭,৫)-এর উদাহরন দেয়া যাক ।(অবশ্যই রোমানজিতে, আমি নিজেই বাকিগুলা বুঝিনা)

tako tsubo ya  
hakanaki yume wo  
natsu no tsuki
                       -Matsuo Bashô
(অর্থ- অক্টোপাসের মত দ্রুতগামী স্বপ্ন / ফাঁদের মাঝে / গ্রীষ্মকালের চন্দ্র )

আসুন এটার মোরাস বিশ্লেষন দেখি-
ta-ko-tsu-bo-ya (৫)
ha-ka-na-ki-yu-me-wo (৭)
na-tsu-no-tsu-ki (৫)
                       -Matsuo Bashô
আশা করি বুঝতে পেরেছেন ।
(চলবে)

সবার শেষে একটা ভাল কাজ করি এই হাইকুটি ভাবানুবাদ করি , বাইকুতে--

অক্টোপাসী এ -
স্বপ্ন , যেন ফাঁদেতে ,
বৈশাখী চাঁদ ।
                - মূলঃ মাৎসো বাশো
                -ভাবানুবাদঃ বিষ পিঁপড়ে