কি ? শিরোনাম পড়ে তাজ্জব ?
তাহলে ভেঙেই বলি ।
Yudoku (জাপানি শব্দ) = বিষ বা বিষাক্ততা
বাiku (কোন ভাষার কে জানে?) = বাংলা+ Haiku
এবার যদি প্রশ্ন আসে হাইকু টা কি ?
এটাও একটা জাপানি শব্দ তবে পরিবর্তিত বলা যায় । এর উৎপত্তি হয়েছে "হাইকাই নঅ কু " থেকে যার মানে "ঈষৎ পদ্য"।
আর হাইকু বলতে বোঝায় এক ধরনের বিশেষ জাপানি কবিতা , যার যাত্রা শুরু হয়েছে ১৩শ শতাব্দীর দিক থেকে । প্রথমত এটা ”তানাকা” কবিতার অংশ হিসেবে বিবেচিত হত বিধায় এর নাম ছিলো ”হাক্কু” ।কালের প্রভাবে এর নিজস্বতার কারনে আজ তা বিশ্বের এক অনন্য কাব্যরূপ লাভ করেছে।আর এটাই পৃথিবীর সংক্ষিপ্ত কাব্যরূপ।
হাইকুর অন্যতম গুণ এটা ”এক বাক্যের কিন্তু তিন চরনে” আবদ্ধ । আর প্রতিটি চরনে ”মোরাস” হয় ৫-৭-৫ করে মোট ১৭।
আামদের বিশ্ব কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর ”মাৎসো বাশো” এর হাইকু অনুবাদ করতে গিয়ে এই ”মোরাস” কে বাংলাভাষার ”মাত্রা’ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করেছেন। কারন মোরাসের সমতুল্য ছন্দ বাংলায় মেলে না , এর প্রধান কারন হতে পারে জাপানি ভাষার ধ্বনি।
রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর অনুবাদ এর মাঝে জাপানি মোরাসের নিয়ম ভাঙেন নি অর্থাৎ বাংলা মাত্রায় ও তা ”৫-৭-৫” এর নিয়ম বহাল রেখেছেন । যদিও তিনি পরবর্তিতে কোন হাইকু লেখেননি । তাই বাংলায় এ নিয়মই বহাল রাখা উচিৎ কারণ এ কবিতার মূলধারা জাপানী, ইংরেজী নয় ।
তাই আমি হাইকু সম্পর্কে লেখার আগে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুবাদটি দিয়ে শুরু করলাম-
furuike ya
kawazu tobikomu
mizu no oto
-Bashō

পুরোনো ডোবা,
দাদুরি লাফালো যে,
জলেতে ধ্বনি।
-রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর

(চলবে)