বাংলাভাষায় সাধারনত ৩ ধরনের সনেটের চর্চা হয়।
     (ক) পেত্রাকীয়  (খ)শেক্সপীয়রীয়  (গ) ফ্রান্সিস ।

পেত্রাকীয় সনেটের গঠন প্রকৃতি ১৪ সংখ্যাটির মধ্যে প্রবলভাবে সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ , চরন এবং অক্ষর দু'ই ১৪ হয় এ ধরনের সনেটে।
আর এ সনেটে স্তবক থাকে মাত্র দুটি ; প্রথম স্তবকে আট চরন ও ভাবের অবতারনা এবং দ্বিতীয় স্তবকে ছয় চরন ও ভাবের পরিণতি ।
আর খাঁটি পেত্রাকীয় সনেটের অন্ত্যমিলের ধরনটা হয় এমন -
কখখক : কখখক :: গঘগ : ঘগঘ
কখখক : কখখক :: গঘঙ : গঘঙ
যদিও অামাদের মাতৃভাষায় পেত্রাকীয় সনেটের প্রথম আট চরনের অন্ত্যমিল ঠিক রেখে পরের ছয় চরনে নিজস্বতা লেপন করা হয়, এবং তাও পেত্রাকীয় সনেট হিসিবেই গণ্য , তবে খাঁটি নয়।

বাংলাভাষায় শেক্সপীয়রীয় রীতির সনেট বহুলাংশে রোমান্টিক সনেট হিসেবেই বিশেষ ভাবে পরিচিত । এ কল্যান অবশ্য কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাপ্য।
শেক্সপীয়রীয় রীতির সনেটে স্তবক থাকে চারটি , যথাক্রমে ৪ , ৪,৪  ও ২ চরন নিয়ে।
যার চারটি স্তবকের মধ্যে প্রথমটিতে থাকে "উপক্রমণিকা" , দ্বিতীয়টিতে বিষয়ের "বিশ্লেষণ" , তৃতীয়টিতে "মর্মরূপায়ণ" এবং সর্বশেষে "সিদ্ধান্ত বা মন্তব্য" । আর অন্ত্যমিলের ধরনটা হয়-
কখকখ : গঘগঘ :: ঙচঙচ : ছছ

(চলবে)