বর।
       বসন্তের ঝিরঝিরে বাতাসে
                      কাঁপে কী মন তোমার?
       তোমার মন কাঁপুক বা না কাঁপুক,
                      কাঁপে কিন্তু মন আমার।
       নাড়ির স্পন্দনে লাফিয়ে চলে
                      এ প্রেমময় প্রতিটি বেলা,
       এসেছে বসন্ত হাসতে হাসতে
                      সবুজ পাতায় করে খেলা।

কনে।
     খোঁয়াড়ের জীবন শেষে
                    মুক্ত আকাশের নিচে
     জীবনটা কার না ভালো লাগে বলো?
                    মন ভরে দেয় এ বসন্ত আলো।
     শীতের চোখে মিছে মিছে শুধু
                    হতাশা ছিল আঁকা,
     আর এখন চেয়ে দেখো
                   বদলেছে কেমন এ প্রিয় ঢাকা।

বর।
     তাইতো!তোমার মুখে দেখছি
                   জেগেছে বসন্তের প্রাণ!!
     কোকিল গায় গাছের ডালে
                   প্রেম জাগানো গান।
     পথ হারানো জীবন খুঁজে পায়
                   নতুন দিনের ঠিকানা,
     এমন দিনে জেগে উঠে প্রেম
                   কোনো বাঁধ্ মানেনা।
     গ্রামে গঞ্জে কোকিলের কুহুতানে
                   হচ্ছে ফুলের স্ফূরণ,
     ঘরে ঘরে প্রেমের বানে
                   হচ্ছে আশা পূরণ।
    
     সেই প্রেমের জোয়ারে আমরা ভেসেছি
                   তালে মিলে তাল,
     ভালোবাসার নদীতে হয়েছে সম্পকের সেতু,
                   হারিয়ে গেছে পাতা ঝরার কাল।

কনে।
     হাত থুতুনিতে রেখেছো কেনো?
                  গ্রাস করবে অপয়া ক্ষণ,
     বসন্তের মিষ্টি মাখা এইদিনে
                  করো ভালোবাসার পণ।
     ও দু’হাত রাখো
                  আমার দু’হাতে,
     সারা দেহে স্বপ্ন মাখো
                  জীবন কাটাবো এক সাথে।

বর।
     এ দু’হাত শুধু কেনো বলছো?
                  মনটাই তো রেখেছি তোমার মনে,
     বসন্ত দিয়েছে মোরে নতুন প্রাণ,
                  ভালোবাসবো তোমায় প্রতিক্ষণে।

কনে।
    তোমার আলিঙ্গন চাই,
                 চাই তোমার আবেগে ভাসতে;
    জলাঞ্জলি দিতে চাই সব,
                 তোমার কাছে আসতে।
    আমার মনে বয়ে চলা
                 আবেগের ঢেউ তোলা পাল,
    তোমার জন্য ছুটে চলুক
                 আজীবন-চিরকাল।

বর।
    তাই?চলো বসন্তে হাতে রেখে হাত
                 চলি স্বপ্নের দেশে,
    কাটিয়ে দেবো সহস্র বসন্ত
                 তোমায় ভালোবেসে।                              


রচনাকাল-।১৪।০২।২০১০;দুপুর-১.০০;পাবনা।