হে হুমায়ূন,
তোমার জন্য চোখের লোনা জল
ঝরে পড়ে অবিরল,
করতে পারিনা নিবারন।
হে হুমায়ূন,
সবুজ গালিচার দেশে
এলে একী বেশে!
কেনো এতো নিষ্ঠুর এ মরন!!
হে হুমায়ূন,
তোমার সরলতার ছবি
এঁকেছে মনের গহিনে এ কবি,
তা দেখার আগেই চলে গেলে অকারন।
হে হুমায়ূন,
তোমার পল্লীটা এখনো হয়নি দেখা,
হয়নি এখনো শেষ তোমার লেখা;
অথচ চলে গেলো তোমার জীবন!!
হে হুমায়ূন,
দেখা হলোনা তোমায় দু’চোখে,
কিন্তু যা কিছু তুমি গেলে রেখে;
দেখবো তোমায় তার মাঝেই আজীবন।
হে হুমায়ূন,
মহাকালের এ লগ্নে এসে
কতো প্রাণ গেলো ভেসে,
কিন্তু তোমার জন্য কষ্ট পাচ্ছি প্রতিক্ষণ।
হে হুমায়ূন,
বাংলা সাহিত্যের হে মহান মাঝি,
চলে গেলে কেনো আজি;
এ ক্ষতি যে হবেনা পূরণ।
হে হুমায়ূন,
তুমি কী জানো?আমার দু’টি হাত;
চেয়েছিলো সন্ধ্যা-সকাল-প্রভাত
ছুঁতে তোমার দু’চরণ।
হে হুমায়ূন,
তোমার জন্য আজ কষ্ট পাচ্ছি খুব,
আর তুমি চুপি সারে আঁধারে দিলে ডুব;
জানি আর ঘটবেনা তোমার আগমন।
হে হুমায়ূন,
শান্তিতে থাকো, শান্তিতে পাড়ো ঘুম;
আল্লাহর কাছে এ মোনাজাতই করি
আমি এখন।
রচনাকাল-২৩/০৭/২০১২;বাগমারা।
[হৃদয়ের গহিনে বাজে বীণ, বইমেলা- ২০১৩ তে প্রকাশিত]