কোথায় বিকৃতির শেষ সীমা?
রাস্তা ঘাটে রক্তমাখা জামা,
আর কতো রবে পড়ে?
মানুষ নামক প্রাণীর হাতে,
সকাল-দুপুর-প্রভাতে;
কেন হারানোর পতাকা উড়ে?
কেন শিশু কন্যার বাবা হয় গুম?
কেন এক নারীর রাত্রি কাটে নির্ঘুম?
সীমানার জালে কেন ঝুলে
মানব নামক পাখি?
নিজ ঘরে স্বামী-স্ত্রীর লাশ দেখে
স্তব্ধ হয় আঁখি।
মেঘের চোখের জল
কেন করে টলমল?
এখানে সেখানে কেন সে ভাসে?
সে জলে গোসল করে কোন পাষণ্ড হাসে!
কেন এমন হয় আমার এই দেশে?
নদীর বুকে কেন মানব লাশ ভাসে?
কেন জ্বলে জীবন্ত মানব দেহ রাজপথে
চন্দন কাঠের মতো;
কী এমন পাপ করেছে
রাম-গোপাল যতো!
কেন এই বিকৃতি?
কেন এই বিকৃত মন?
কেন মানুষ মরে
অহেতুক-অকারন?
রচনাকাল-৬। ৫।২০১২,রাত-১0. ২৮
[হৃদয়ের গহিনে বাজে বীণ, বইমেলা- ২০১৩ তে প্রকাশিত]