জগৎ সংসারে এই সমন্বয়বাদী মন,
চলে নিষ্ঠুর তালে সর্বদা-সারাক্ষণ ।

পৃথিবীর সবকোণে খুঁজেছি নি:স্বার্থ শিরা,
দেখেছি সবখানেই স্বার্থের রেনু্য় ঘেরা।
পাইনি কোথাও এ হৃদয়ের আবাস,
পাল্টা হয়েছে বারে বারে তন্দ্রার বনবাস।

অনুভূতিতে জ্বর ধরেছে, কল্পনাতে ভয়;
আবেগে মন চলে, জীবন কিন্তু নয়।
ভালোবাসায় ঘুন ধরেছে, বিশ্বাসে ফাঁকি;
নীরবে নীরবে ছলনা করে প্রিয়ার দু'আঁখি।

নিশি কন্ঠবাদনে বেজেছে প্রিয়ার গান,
কেটেছে সহস্র রজনী, হয়েছে আনমনা এ প্রাণ।
অনিঃশেষ ফল্লুধারা ঝরেছে কতো স্বপ্নলোকে,
আজ সবই শেষ, চলে গেছে পরলোকে।

মলয়ের স্নিগ্ধতা, পৃথিবীর শূভ্রতা,
কিছুই দেখিনি বহুদিন ধরে;
জীবনের পূর্ণতা,আজব রকম শূন্যতা;
মন থেকে গেছে বহু আগেই ঝরে।

শূন্যে শূন্যে জীবন হয়েছে পূর্ণ,
প্রেমাভিসার ছলনা জীবন করেছে চূর্ণ।
বাস্তবতার নির্মম স্রোতে হয়েছে আশা ভঙ্গ,
থমকে গেছে মন-প্রাণ-দেহ রঙ্গ।

আজও বৃষ্টির দিনে মেঘের আঁখি বেয়ে ঝরে,
না পাবার হাহাকার।
মনে পড়ে রবি ঠাকুরের উক্তি,
''পৃথিবীতে কে কাহার।"

রচনাকাল-২৯।০১।২০১২,রাত-১০.০০
[হৃদয়ের গহিনে বাজে বীণ, বইমেলা- ২০১৩ তে প্রকাশিত]