আছড়ে পড়ছে ঢেউ অতলে ক্রমাগত| যখন দেখতে পাও তুমি তখন তটের কিনারায় বসে কাঁদতে থাকো
হারিয়ে ফেলেছ জানি এক নিমিষে সবকিছুই!তোমার দূরদৃষ্টির অভাবে!কষ্ট কষ্ট আর কষ্ট! এ যেন এক মহা প্রলয়ের আভাস,মাথা নিচু করে বসে রয়েছ, করে চলেছ অসাধ্য সাধনের ব্যার্থ প্রয়াস| বালুকণা গুনতে গুনতে গোধূলির সাথে মুখ ঢাকলে চরম বাস্তব থেকে| লজ্জা পেয়েছ বুঝি? ভীষণ লাজুকতাই আজ তোমার বসন খুলতে চলেছে একে একে তোমাকে বিবস্ত্র করে ছাড়বে|তুমি তোমার দুটি দুর্বল হাত দিয়ে কতটুকু আচ্ছাদন করতে পারবে!
পিছে পিছে অগণিত পথ কুকুর ধেয়ে আসছে!না না না আর লজ্জা নয় আর লজ্জা নয়|ছেড়ে দাও তোমার আচ্ছাদনী হস্ত| অনেক দেরী হয়েছে এবার একমুষ্টি বালুকণা তুলে ছিটিয়ে দাও যেন পৌঁছে যায় উত্তপ্ত রবির কাছে, জানি কিরণে তার বিন্দু মাত্র প্রভাব পড়বেনা হঠাৎ চমকেও উঠবেনা তোমার মতই অপ্রস্তুতিতে, কিন্তু নিয়মিত ঔজ্বল্যতা বিন্দু মাত্রায় হলেও বাধা প্রাপ্ত হবে তোমার নিয়মিত বিদ্রোহী সূচনার অব্যার্থ প্রয়াসে|চিৎকার করে জানিয়ে দাও আকাশকে তোমার আর্তনাদে কেঁপে উঠুক মেঘ হয়ে যাক খন্ড খন্ড!লজ্জা?যেখানে অগণিত পশুর শিথিল সাধনদন্ড জড়িবুটিতে ডুবে থেকে উঁকি মারে সুযোগের অপেক্ষায় সেখানে লজ্জা? পৃথিবীর সমগ্র রাজপথে এঁকে দাও লক্ষ কোটি মৃত নগ্ন চিত্র, দেওয়ালে,গাড়িতে,ট্রেন জাহাজে, চৌমাথায় এমন কি সিংহাসনও যেন থাকেনা বঞ্চিত|নদীর জলে ভাসিয়ে দাও রক্তাক্ত কোটি কোটি অন্তর্বাস গুলি বন্ধ হোক পৃথিবীর সকল নদীগর্ভ|ঘষে দাও ডোলে দাও তোমার পায়ের গোড়ালি দিয়ে পৃথিবীর সব জীবন্ত আগাছা, উপড়ে দাও সকলে মিলে আদিম বিষাক্ত চক্ষু|বেল বৃক্ষে জল ঢেলে শপথ নাও আমরা থামছি না আমরা থামছি না আমরা থামছি না....