দাঁড়াও শিশুবর, দাঁড়াও!
তুমি, অচেনা অতিথি আমার দেশে;
আপন চিন্তা ত্যাগ করে চলতে হবে আমাদের বেশে
যদি আমি বলি, ফিরে যাও সেই অনন্তপূন্যধামে
যেথা শান্তির শীতল ছায়া লভিবে অসীমসুখশর্মে।
যেথা প্রানের বার্তা বইবে নির্মল বাতাসে
আনন্দবানী লইয়া পাখি উড়িবে আকাশে।
হে শিশুবর !
ভীষণ ক্লান্ত আজ আমাদের দেশের ভূমি,
কত মা, কত বধূ ! হারিয়েছে তাদের পুত্র-স্বামী।
হে শিশুবর,
যদি তুমি আসো আমাদের দেশে,
ঋনের দায়ে, দৈন্যের দায়ে যাবে তুমি ফেঁসে।
হেথায়, নেই সমাজনীতি, নেই শিক্ষানীতি, নেই কোন আদর্শনীতি
শুধু আছে গনতন্ত্রের নামে রাজতন্ত্রের রাজনীতি।
আর মানুষ ! সে তো প্রকৃতির সৃষ্টি এক অদ্ভুত জীব
হৃদয়ের স্পন্দন আছে, মুখে মিষ্টি ভাষনও আছে, কিন্তু নির্জীব।
ডাক্তার-প্রশাসন, শুয়ে থাকে রাজনীতির বিছানায় ,
কেউ একজন খুন হলে বিরোধী বিরোধীকেই কামড়ায়।
মঞ্চে উঠে নেতাগন হাত জোড় করে,
কিছুক্ষণ পরে গালাগালি দেয় মন-প্রানভরে।
যদি তুমি মিথ্যে বলো তুমিই হবে রাজা,
আর তুমি যদি সত্য বলো পাবে কঠিন সাজা।
হে শিশুবর,
জানো কি তুমি?
ভীষণ সঙ্কটে আজ আমার মাতৃভূমি ।
এখন সবাই জপে একটাই মন্ত্র,
চলো, দেশকে গড়ি এক মৃতের যন্ত্র।