অবয়াকাশে সাদামেঘ বকের মতো আনন্দে মেতে দিকে দিকে ভাসে;
না জানি কোন্ অচেনা সুখের আভাস করিল আলাপন নীলের দেশে মিশে।
এ কি সৌরভ চারি ছড়াল আকাশে
কাশবন দোলে শুভ্র ভোরের নির্মল বাতাসে,
বসিয়া উঠানে চাহি গগনপানে
চিত্ত কিছু বলিতে চাহে, মত্ত কলম অন্য গানে।
শিউলির গন্ধে উদ্বেলিত মন এক নতুন প্রানের সাজে,
মধুর সৌরভের মাঝে, হৃদয়ে কাঁসর ঢোল বাজে।
তাই বলি এত খুশি এলো কোথা হতে
দুঃখের মাঝেও চিত্ত মোর আগমনীর সুরে মাতে,
খুশির অসীম জোয়ারে;
মত্ত নদীর তীরে
কাশফুলেরা নিজের ছন্দে খাচ্ছে দোল,
জানে তারা দুগ্গা মায়ের বাজবে কাঁসর ঢোল।
শিহরিত হয় দেহ খানি মোর হিমেল হাওয়ায় পরশে,
চিত্ত আমার দিগ্বিদিকে উড়ে শরতে মেঘের হরষে।
আশাহীনেরে আশা দাও মা
মুক্ত কর হে সকল যাতনা,
এই প্রার্থনা করি মনপ্রাণ ভরে
এসো মা তুমি আলো করো এই বসুধারে।
অটুট থাকে যেন মা তোমার আশীষ খানি,
দুঃখ ভুলে পরুক সবাই সুখের মুকুটমণি।
হে রূপদাত্রী রূপং দেহী, জ্ঞানবাহারের পুষ্প ধরো,
হে জয়দাত্রী জয়ং দেহী, তেজস্বীতায় মোরে পূর্ণ করো।
যশের ঝোলা খালি পড়ে;
চিত্ত আশার পর্বত গড়ে ,
যশ আসে না কর্মগুনে, ওহে যশোদেহী।
চিত্তমাঝে ক্রোধেরই বাস;
কি করে জয় করি শ্বাস?
শান্ত করো চিত্ত মোর, হে দ্বিষো জহি ।।