ওরে শিশু,
তোকে দেখে আমার ঈর্ষা হয়,
তুই চঞ্চল অশান্ত, তবু উত্থান-পতনে নেই কোন ভয়,
চরিত্রে তুই উজ্বল নিষ্কলঙ্ক নির্দোষ ;
বুক ফুলিয়ে হাঁটিস অন্যায়ের কভু করিস না আপোস।

তুই সদ্য ফোঁটা কুসুম নিভৃত আবরনে,
পূর্ণ পুষ্প হলে কত তৃষ্ণার্ত মৌমাছি তৃষ্ণা মেটাবে কে জানে!
কর্মঠ তুই জাগ্রত তুই আত্মশক্তিতে ভরপুর তুই;
তোর স্পর্ধিত শির নমিত করিবে বিশ্বমাঝে কেহই নাই।

তোর বংশ আছে কিন্তু পরোয়া নেই বংশ মর্যাদায়
ভবিষ্যত্ আছে তবু রুচি নেই আত্মপ্রতিষ্ঠায়,
যখন তোর পবিত্র মুখখানি ভরে ওঠে উজ্বলে
বেদ নিষ্ঠ  ব্রহ্মচারী ব্যর্থ হয়  পবিত্র জমুনা-সলিলে।

লোকনিন্দা তোরে করে না বিচলিত,
প্রশংসা কভু করে না স্ফীত;
আপন মনে আপন সুরে মত্ত তুই আপন গানে
উদার তুই হৃদয়ে, ক্ষন-ভঙ্গুর মান-অভিমানে।

মায়ের কোলে বসিবার তরে ছুটে ছুটে পড়িস বার বার,
পড়তে পড়তে ইচ্ছার জোরে উঠিস শতবার।
জীবনের তরঙ্গে তোর যত আনন্দনৃত্য দেখি,
অসহ যাতনায় আমি তত ঈর্ষা মাখি;
হৃদয়ে আমার জাগে আশা,
তোরে নিন্দা করিব, কিন্তু চিত্ত আমার পায়নি ভাষা।

তাই প্রকৃতিরে শুধাই,
তুমি কি পারবে, আমায় শিশু করতে?
আমি শিশু হতে চাই।।