হাই লাক্সারি বউ এনে,
কাদছি বসে -শুয়ে।
বৌ কেবল সাজতে থাকে
রান্নাবান্না থুয়ে।
ধোঁয়ার ভয়ে রান্নাতে,
দেয়না তার মন।
হোটেল থেকে ফুড এনে,
সাজে গুঁজে সারাক্ষণ।
মাছ কুটেনা কাঁটার ভয়ে,
খায় ঝোল আর কারি।
সব্জি কিনলে রেখে দিয়ে,
সাঁজুগুজু দরকারি।
প্রসাধনী কিনতে যেয়ে,
পকেট হচ্ছে ফাঁকা।
ঘরটা তাই পার্লার হলো,
বউ যে শো-পিচে রাখা।
ফেসবুক-ইন্সটাগ্রামে,
স্ট্যাটাসের ঝর।
লাইক -কমেন্ট, শেয়ার,
বেড়ে যায় তরতর।
আমার পিকে লাইক পরে,
গোটা পঁচিশ বা কুড়ি।
বৌ ছবি আপলোড দিলে,
বেধে যায় হুড়োহুড়ি।
বৌয়ের মেজাজ কিরকম,
আমি জানার আগে।
ফলোয়ার শান্তনা দেয়,
আমাকে রাখে ট্যাগে।
ঘর মোছা কিবা ঝাড়ু দেয়া,
পছন্দ নয় মোটে।
কাজের বুয়া কি'বা আমি
রাখে তাই ঠোটে ঠোটে।
বিছানায় উঠে তাই আমি,
ভয়ে ভয়ে বেশ থাকি।
আউলা হলে যে রক্ষা নেই,
ঢোল বাজবে একাকী।
হাল ফ্যাশনের পোশাক কেনা,
শপিংমল ঘোরাঘুরি।
শুক্রবার মুভি আওয়ার,
করে তাই জোড়াজুড়ি।
মাঝে মধ্যে বন্ধু - আড্ডা,
পার্টির আয়োজন।
হোটেলের বিল চুকিয়ে,
কাঁদি বসে কিছু ক্ষণ।।
দশ টাকা বাঁচিয়ে রাখতে,
হাটি আমি ক্রোশ - আধা।
নানান দিবসে পার্টি করা,
এ কেমন মজা?-ধাধা?
আলমিরা তে সাঁজিয়ে রাখা,
নানান রকম শাড়ি।
লাইভে এসে জানতে চায়,
লাগে কেমন বাহারী?
আমি বললে সেই পুরনো,
ভাঁজ ভাঙতে কৃপণ।
নতুন শাড়ির সাঁজ দেখে
মজা লুটে অন্যজন।