সাজিদ নামে একটা ছেলে পড়ে ক্লাস টেনে।
পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে সকল নিয়ম মেনে।

একদিন তার সহপাঠী নামটা রফিক চাঁন।
বিকেল বেলা আড্ডা দিয়ে বলে একটু টান।

বন্ধুর হাত থেকে বিড়ি নিয়ে কয়েক ফু দিলে,
কেশে কেশে নাজেহাল বন্ধুরা হেশে ফেলে।

লজ্জা পেয়ে সাজিদ যখন হয় একটু কাবু।
তুই একটা গেয়ে হয়ে থাকলি ছোট বাবু।

তারপর থেকে বন্ধুদের সাথে সুখ টান মারে।
কদিন যেতে ওর মতো কে ধুয়া ছাড়তে পারে?

ক্রমেই ধোঁয়ার সাথে গড়ে ওঠে সখ্য।
বিড়ি টেনে সুখ পায় হয়ে ভীষণ দক্ষ।

কদিন বাদে বিড়ি তে পিনিক নাহি আসে।
এক বন্ধু নতুন কিছু পৌছায় তার পাশে।

সেই জিনিস খুব ভালো পিনিক ষোল আনা।
পেতে অতি  গোপনে করতে হয় আনাগোনা।

গোপনে পিনিক পেতে যায় গভীর রাতে।
পড়াশোনা চাঙে উঠুক ক্ষতি কি তাতে?

এভাবে কয়েক মাস যেতে না যেতে।
আকাঙ্খা জাগে তার নতুন কিছু পেতে।

পেয়েও যায় তাড়াতাড়ি দাম একটু চড়া।
খেলে খুব পিনিক আসে আগের চেয়ে কড়া।

এভাবে রঙিন পানি খেয়ে পড়ে থাকে।
কেউ একজন খবর দেয় তার মাকে।

মা এসে ছাত্রাবাস থেকে নিয়ে যায় বাড়ি।
ছেলের প্রতি শুরু করে খুবই কড়াকড়ি।

ছেলের তো ভালো লাগেনা মায়ের কথা।
পিনিক ছাড়া দুনিয়ার সব  লাগে  অযথা।

মায়ের কাছে টাকা চাইলে দেয়না যখন তাকে।
সকল ক্রোধ যেন চলে আসে তার কঠিন বুকে।

জোর করে আলমিরার চাবি নিতে যখন চায়।
মা তখন প্রাণপণে পথ আটকাতে চলে যায়।।

পিনিকের চোটে সাজিদ মাকে মারে ধাক্কা।
দেয়ালের কোনে মাথা পরে যায় তখন অক্কা।

পিনিক এতো কড়া ছিলো খেয়াল নাহি ছিলো।
নেশা শেষে ফিরে বলে জননী কোথায় গেলো?

খুঁজে ফিরে দেখে সে তার মায়ের নিথর দেহ।
বুঝতে পারে খুনি সে ছাড়া নহে অন্য কেহ।

খবর পেয়ে পুলিশ এসে বেধে যখন ফেলে।
কু বন্ধুর ফাঁদে পরে যাচ্ছি আজকে জেলে।