ভুত ও শিশু
- এম এম মিজান
১৬-০২-২০২৪
চালতা গাছের ঝোপের ভেতর,
মিয়া বাড়ির পুকুর পাড়ে।
দুষ্ট ভুতের আবাস স্থল,
ধরে যারে পায় একেবারে।
বিদ্যালয়ে যেতে চায়না যে শিশু,
ফাকি বাজির চেষ্টা করে।
আচমকা এসে ঘরে ঢুকে যায়,
কান মলা দেয় জোর করে।
যে শিশু সঠিক সময়ে খায় না
তার প্রতিদিনের আহার।
ভুতের তখন মেজাজ গরম,
নিয়ে যায় দুরের পাহার।
যে শিশু মা বাবার সাথে করেনা,
সঠিক -উত্তম আচরণ.
ভুতটি তখন রেগেমেগে শেষ,
তুলে নেয় ভয়ানক বন।
যে শিশ খেলাধুলা করে বেড়ায়,
পড়ার টেবিলে বসে কম।
সে শিশুকে বাইরে পেলে ভুতটি,
গাছে তুলে মারে একদম
🎎🎈🎎🎎🎎🎈
পথ শিশু।
এম এম মিজান
নেই বাড়িঘর নেই ঠিকানা,
পথেই বসত গড়ি।
কেউ শুধায় না কেমন আছি,
কোমল মুখটি ধরি।
তোমরা যখন দামি প্লেটে,
নিত্য করো ভুরি ভোজ।
আমরা তখন ময়লা ঘেটে,
করি শুধু খাদ্য খোজ।
পথের ধুলায় আমরা থাকি,
তোমরা উচু দালানে।
রোদের জ্বালা - বৃষ্টি ভিজি
যাবো বলো কোন খানে?
কাগজ কুড়াই -ভিক্ষা করে,
যোগাই পেটের ভাত।
তোমরা সুযোগ পেলেই তাই
বলো কত নীচু জাত।
দুই মুঠো খাদ্য যোগাতে গিয়ে,
কত কিছু ই না করি।
তিন বেলা ভাত তবু জোটেনা,
অনাহারে তাই মরি।
ছিন্ন পোশাক , রুগ্ন দেহ,
ধুলার জগতে থাকি।
সুখ বুঝি নাই এই কপালে?
দিয়েছে জনম ফাকি?
(কবিতার প্রেক্ষাপট : আজ ছেলেকে ঢাকা মেডিক্যাল থেকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার সময় কল্যানপুরের আগে জ্যামে পড়ি।পাশে তাকিয়ে দেখি আইল্যান্ডের উপর বিভিন্ন বয়সে রতিনটি বাচ্চা মাদুরের উপর দুষ্টুমি করছে। একটা একেবারে শিশু বয়সের।বেশি বয়সের বাচ্চা টা সম্ভবত : সাত বছরের হবে। ছোট শিশুকে ফীডারে দুধ খাওয়াচ্ছে। মা হয়তো কাজে গেছে। দেখে খুব মায়া লাগলো। এই রাস্তার ধুলাময়লায় কিভাবে বাচ্চাগুলো বড় হচ্ছে। তাদের প্রতি আমাদের এই সমাজ কোন কিছুই করতে পারছে না।এরাই ই একসময় বড় হয়ে দেশের নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোমলপ্রাণ শিশুদের জন্য যে যার অবস্থান থেকে এগিয়ে এলে হয়তো তাদের একটা স্বাস্থ্যকর আনন্দময় জীবন উপহার দিতে পারি