ঈদ এলে ছোট্ট খুকির,
খুশির বাধ ভাঙে।
ছোটাছুটি করে সারা বাড়ি,
নতুন রঙে রাঙে।
লাল জামা আর কালো জুতো,
টেডি বিয়ার নিয়ে।
নতুন পার্সে টাকা জমায়,
ঈদী- সালামী দিয়ে ।
লাল টাকা!- না সবুজ টাকা,
হলুদ টাকা খুঁজে।
ভালো টাকা টা চুরি হয়েছে,
নিলো কোন অবুঝে?
চুরি করে কোন চোরে নিছে?
যদি দেখতো তাকে।
চিমটি কেটে চামড়া নিতো,
ভুলতো চুরি টাকে!
তাইতো খুকী রাগ করেছে ,
মুখ ফুলিয়ে ভার।
ঈদের সালামী চুরি হলে,
ভালো টা লাগে কার?
খালার জামা,,,
,,,,,,,,
ছোটো খুকী জেগে আছে,
ঘুম আসেনা চোখে।
পড়ার সাথী করবী
কাঁদে জামার শোকে।
বাপ তার মারা গেছে,
দুই বছর আগে।
ঈদ এলে তাই জামা,
জুটেনা তার ভাগে।
এক সাথে খেলা করে,
এক সাথে স্কুলে।
বন্ধু হয়ে তারা,
কাটায় জাঁত তুলে।
খুকী তাই ভেবে নিলো,
হাসি ফুটাবে তার।
খালাকে ফোনে জানায়,
দাও দুটো এবার।
খালা তো অবাক হয়ে,
মামণি দুটো কেন?
প্রতি ঈদে এক জামা,
গিফট দেই জান!
খুকী বলে কিরে দেই,
বলোনা মাম্মি কে।
খেলার সাথী করবী,
যে,-পুরনো পোশাকে।
তোমার দেয়া নতুন জামা,
পরে ঈদের দিনে।
আনন্দ ভাগ করে,
নিবো তো দুইজনে।
যেমন করে ই দুটো জামা,
দিতে ই হবে খালা।
তোমার জামায় ভুলে যাবে,
মনের দুখ-জ্বালা।
,,,,, , ,, নাগর আলী ,,,,,,
নাগর আলী পঁচা।
নাকটা তার বোচা।
দাত গুলো যে ওচা।।
মারো সবাই খোচা।
নাগর আলী জ্ঞানী।
কাজে করমে ধ্যানী।
নাগর আলী ভালা।
মা করে ফালা ফালা,
বাপে কয় বেঁচে ফেলা।
দাদি করে তালাজালা।
কান টা ঝালাপালা।
নেই তো ডালা পালা।
পথে ই ফেরা-চলা।
নাগর আলী কাঁদে।
একাকী ভাত রাধে।
কাউকে খেতে সাধে।।
ভাবের মোহে বাঁধে।
জীবন বরবাদে!
যেন গভীর খাদে।
তাইতো অবসাদে।
নাগর আলী ফাঁদে।
নাগর আলী হাসে।
বারবার ই ফাঁসে।
ফাঁসতে ভালোবাসে।
ফেঁসে ফুসে অনায়াসে।
ফিনিকে ঠেলে ঠুসে।
থাকে না তাই হুশে।
ধরে নেয় পুলিশে!
নাগর আলী জেলে।
জেলে পুরিয়া মেলে।
বাড়তি দাম দিলে।
রক্ষী খাচ্ছে গিলে।
নাগর আলী খুশি।
ভাতের জন্য আর, -
লড়েনা দিবানিশি।