করব করব করেও হয়না করা,
থাক আজ করবো না - কাল সে।
এভাবেই জমেছে কাজের পাহাড়!
আমি যে ভিষণ আলসে
কর্মে ডুবে ঘর্ম দেহে,
ফিরে যবে সব!
তাসের মাঝে নাশের কাজে
লিপ্ত আমি তব!
কায়িক শ্রম!- মতিভ্রম?
আমার বেলায় কি সাজে?
ধুলো কনা কায়ায় মেখে
কি বিচ্ছিরি! - বাজে!
বংশের গৌরব শিক্ষার সৌরভ,
কার চেয়ে আমি কম?
ক্ষেত খামারের কাজ"- চাষাভুষার কাজ?
চাকরি ই আমার জন্য উত্তম!
এত্তগুলা ডিগ্রি নিয়ে যদি
ধান পান সবজি ফলাই
শিক্ষার ইজ্জত কি রইলো?
উত্তর কিন্তু চাই!
বাপের টাকা খরচ করে
হাজার কিংবা লাখ।
চাকরি করে তুলবো তা
ক্ষেতে কি লাগাবো আলু,মুলো কিংবা শাক?
গরু -মহিস পালন করা
আমার জন্য কি শোভে?
মুত্র - গোবরের বিদঘুটে গন্ধ!
পড়শী দেখলে কি কবে?
আঁশটে গন্ধ ভীষণ মন্দ
নাসা রন্ধ্রে ঢুকে বমির উৎপাত!
মৎস্য চাস তাই ভীষণ দায়
"তাই চাকরি হবে মানানসই আমার সাথ"!
বৃক্ষরোপণ! কলম কোপন!
আমার দ্বারা ভাই হবে না এটা!
কবে হবে ফলদার? - বাচব কি ততক্ষণ?
সব ফালতু! - আমি তো জমিদার বংশের ব্যাটা!
ব্যাবসার ভাই মুলধন লাগে,
যদি ও বাবা জোগাতে পারে এক চুটকি তেই "!
বেসাতির জন্য আম জনতা তোষামোদ!
আমার ভিতরে ই এটা নেই!
শিক্ষিত জাতি সনদের বাহুল্য!
হীনমন্যতায় ভোগে!
কোন কাজ ই করতে চায় না
হতাশা গ্রস্ত!- চাকরি নামক ছোয়াচে রোগে!
চাকরি নামক সোনার হরিণ
পিছে ছুটছে ধাই ধাই।
ব্যার্থ হয়ে হতাশ রয়ে
মাদকাসক্ত হচ্ছে সাই সাই!
শিক্ষিত হলে ই জব করবে
এ কেমন নিয়ম সমাজে?
চাকরি হলো অন্যর চাকর
" স্বাধীন পেশা ই সম্মানজনক '"-
বাকি সব বাজে "
নিজের হাতে কর্ম করতে
লজ্জা হওয়া নয় কাম্য?
প্রত্যেক নবী ই স্ব হস্তে কর্ম করে,
ধরার বুকে প্রতিষ্ঠা করে
ন্যায় নীতি ও সাম্য।
কর্মী ই আসল বীর।
কর্ম ই মহাবিশ্বের মুল ধর্ম।
কর্মের মাজে ই দুনিয়া সচল
" কাজের মাঝে ই ব্যাক্তির প্রকাশ".
বুঝে নিও এই কবিতার মর্ম