আমি যদি আকাশ হতাম
বৃষ্টি দিতাম ঝরিয়ে,
আমি যদি সূর্য হতাম
কিরণ দিতাম ছড়িয়ে।
আমি যদি সাগর হতাম
আমার কুলে দাঁড়িয়ে,
আমায় তুমি ডাকতে কাছে
তোমার দু'হাত বাড়িয়ে।
তীরে দাঁড়িয়ে থাকতে তুমি
আমার দিকে চেয়ে,
ঊর্মী হয়ে আমি তোমার
চরণ যেতাম ছুঁয়ে।
আমি যদি নদী হতাম
বাইতো মাঝি নাও,
সওঁদা নিয়ে যায়তো সে যে
উজানতলির গাঁও।
হতাম যদি নদীর দু'পাড়
কাশফুলেরই মেলা,
গরু লয়ে রাখাল ছেলে
করতো সেথায় খেলা।
হতাম যদি ফুল বাগিচা
আমার কাছাকাছি,
মৌমাছি আর পতঙ্গরা
করতো নাচানাচি।
হতাম যদি মেঘের কোণে
একটু আলোর রাশি,
বাদল দিনে ফুটিয়ে দিতাম
সবার মনে হাঁসি।
হতাম যদি রাতের বেলায়
মিষ্টি চাঁদের আলো,
ভালোবাসায় শিক্ত হতো
রাতের আঁধার কালো।
হতাম যদি প্রিয়ার হাতের
মেহেদী রাঙা সাঁজ,
নইতো বা তার আলতা রাঙা
পায়ের কারুকাজ।
হতাম যদি প্রভাত কালের
প্রথম রবির প্রভা,
ছড়িয়ে যেতাম সব জাগাতে
বিলিয়ে দিতাম শোভা।
হতাম যদি দিনের শুরু
অথবা দিনের শেষ,
সুখ বিলিয়ে দিতাম আমি
থাকতো না তো লেশ।
না পারিলাম কিছুই হতে
এইতো মনের বোল,
একলা মনে বলে যায়
তাই আবোল তাবোল।