গভীর রাত;হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলো,
ঠক্ ঠক্ হাঁতুড়ির শব্দে।
শত চেষ্টা করেও; আর ঘুমাতে পারলাম না।
বিছানা মোচড়াতে মোচড়াতে;
রাগাক্রন্তমনে উঠে পড়লাম বিছানা ছেড়ে।
না; কিছুতেই যেন ঘুম আসছে না।
কি যেন এক অস্থিরতা বিরাজ করছে;
আমার অন্তর গহিনে।
আবার সেই হাঁতুড়ির ঠক্ ঠক্ শব্দ।
খাট থেকে নেমে পায়চারি করতে লাগাম,
অস্থির আর বিরক্তি ভরে।
আস্তে আস্তে চক্ষুদয় মুছতে মুছতে,
এগিয়ে গেলাম দরজার নিকট।
দরজা খুলতেই দেখি;
বাইরে ঘুটঘুটে কালো অন্ধকার।
দৃষ্টিহীনের মতো হেঁটে হেঁটে গেলাম,
বাড়ির সদর দরজায়।
ঘুমের ঘোর কিছুটা কেটে গেছে,
এদিক ওদিক তাকিয়ে
কিছুই যেন দেখতে পেলাম না।
আবরও হাঁটতে হাঁটতে ফিরে এলাম
শয়নালয়ের সন্নিকটে।
দরজার ছিটকিনিটা লাগিয়ে দিয়ে,
আবারও শুয়ে পড়লাম
একটু প্রশান্তির তন্দ্রার তরে।
মৃদু তন্দ্রাছন্ন ভাব,
আবার সেই হাঁতুড়ির ঠক্ ঠক্ শব্দ।
না, এতো আমাকে জ্বালিয়ে মারবে দেখছি,
কোথাও কিছু দেখতে পেলাম না!!
তাহলে কি আমি ভুল শুনলাম ?
না; ভুল শুনিনি সেই রাতে;
আমার ভিতরের পুঞ্জিভুত পাপ,
আমাকে আঘাতের পর আঘাত করে চলেছে
কামারের হাঁতুড়ির মতো।
কলিজার খুনে লালক পোকার দংশন,
দংশিত করে চলেছে বিষাক্ত নাগিনীর মতো।
কুরে কুরে খাচ্ছিলো হৃদয়ের কীটপতঙ্গ,
আর ঘুন পোকা গুলো।
নিজেকে রক্ষা করার আমরণ চেষ্টা,
কোন লাভ হয়নি তাতে।
তাদের নিরব আঘাত গুলোকে
আজও আমি ভয় পায় হিংস্রজানোয়ারের মতো।
আমি আজও ভুলতে পারিনি
হাঁতুড়ির সেই অসহ্য শব্দ,
ঠক্ ঠক্, ঠক্ ঠক্, ঠক্ ঠক্ ।