ঘটি বাটি কম্বল
এই শুধু সম্বল
বাকী সব গেছে ভেঙে,
পাইনি রেহাই
কোন ভাবে হায়
শত মিনতি মেঙে।
কত আশাকরে
যমুনার তীরে
বাধিনু আমার ঘর,
যতন করে
তুলেছিনু ভরে
অপরুপ মনহর।
করিতো যে খেলা
গোধুলীর বেলা
রাখাল ছেলের দল,
গরু লইয়া
পড়িতো নামিয়া
যখনি আসিতো ঢল।
যমুনার বুকে
উঠিতো যে এঁকে
কি যাদুময়ী ঢেউ,
সেই ঢেউ যে
কাল হবে সে
তাহা কি জানিতো কেউ।
আমাবশ্যা রাত
আঁখি করি পাত
ঘুমায় আছি নিরালায়,
হঠাৎ উঠি জাগি
হইয়া বিবাগী
শুনি গর্জন যমুনায়।
কাল ঢেউ এসে
নিয়ে গেল ভেসে
আমার যা কিছু সব,
আমি চেয়ে দেখি
চারিদিকে একি
জলেদের কলরব!!
হয়ে দিশেহারা
খুঁজে ফিরি সারা
কোথারে আমার স্বজন,
ঘুমিয়ে ছিলে
তারা সবে মিলে
মা ছেলে মেয়ে ক'জন।
গ্রাস করিলো
যা কিছু ছিলো
রাক্ষুসী যমুনা নদী,
আমারে যে কেন
রাখিলি রে হেন
কাঁদায়তে নিরবোধি।
ফিরে চলি পথে
আমি কোন মতে
নিলাজ কুলটা যমুনা,
মায়া নাই তোর
কেড়ে নিলি মোর
রাখিলি না কোন নমুনা।
আজো আসি ফিরে
যমুনার তীরে
দাঁড়ায় অধীর আসে,
ভাবি মনে মনে
কভু তার শনে
স্মৃতি টুকু যদি ভাসে।
পাইনা আমি
দিবস রজনী
কোন খানে কোন চিহ্ন,
যে দিকে তাকাই
দেখিতে যে পাই
অথৈ সাগর অভিন্ন।
কালনাগিনী
ডাকিনি সাপিনী
তুইযে সর্ব গ্রাসী,
তবু নাহি তোর
ভরেনা জঠর
যমুনা সর্বনাশী।