কেন তোমরা তাদের মাথা থেকে,
রক্ত চুষে খাচ্ছ উকুনের মতো।
কেন তোমরা তাদের শরীর থেকে,
রক্ত চুষে নিচ্ছ মশার মতো।
কেন তোমরা রক্ত চুষা,
বাদুরের মতো খেঁপেছো।
কেন রক্ত পিপাসু নর রাক্ষসের মতো,
মত্ত হয়েছো রক্তের মাতন খেলায়।
ক্ষুধার্ত শকুনের মতো ঠুকরে ঠুকরে,
কেন খেয়ে চলেছো জরাজীর্ণ শরীরের লালিত চামড়া।
ওদের কঙ্কাল সার শরীরে আরতো কিছুই নেই,
পড়ে আছে শুধু দু-শ ছয়টি হাড়।
ইট কাঠ পাথরের এই শহরে,
কোথাও ঠাঁই হয়না একটু মাথা গুজবার।
যেখানে যাই সেখানে শুনতে পাই,
ক্ষুধার্ত হায়েনার গর্জন।
আতঙ্কে আর হতাশায় আশাহত তারা,
সমাজের কীট আর হিংস্র জানোয়ারের ভয়ে।
তোমরা যখন ওদের উপর
অত্যাচারের স্ট্রীম রোলার চালাও,
তখন ওরা মুখ বন্ধ করে থাকে
অবৈধ্য স্থাপনার মতো।
কেন এই অত্যাচার ?
কেন এই অবিচার ?
কেন এই অন্যায় ?
তোমরা কি পারোনা ওদের দিকে,
বাড়াতে মমতার হাত।
না কি পারোনা একটি বেলা,
ভূখা পেটে দিতে ভাত।
ওরাতো মানুষ।
মানুষের মতো বাঁচতে চাওয়া কি অপরাধ।
যদি তাই হবে।
তবে কেন বিধাতা বানালে তোমায়,
একই রক্তে মাংসে।
সময় থাকতে করে দাও ওদের,
ব্যবস্থা বাচিঁবার।
তা না হলে ওরা বজ্রের মতো গর্জে উঠিবে,
ভঙিবে সকল বন্ধ দ্বার।
সিংহের মতো আঘাত হানিবে,
ছিড়িয়া ফেলিবে বেড়া জাল।
হুঙ্কার বাঘের ছাড়িবে,
দয়া নয়, করুনা নয়,
আমরা শুধু চাঁই মাথা উচুঁ করে,
বাচাঁর অধিকার।