সারাদিন নিরাশ্রিতের মত টই টই করে ঘুরে দিনশেষে বাড়ি ফেরার পর ভেতর থেকে দরজা খুলে দেবার মতো যার একটা নিজের মানুষ পাশে থাকেনা , সে মানুষটি জানে , জীবনে একটা নিজস্ব মানুষের কতটা প্রয়োজন ।
পুরোটা দিন হাড় হিম হয়ে যাওয়া শীতে , হাড় ভাঙা খাটুনির পর যে মানুষটি এসে বলতে পারেনা , কই গো গরম পানিটা দাও । সে মানুষটি জানে একটা যত্নশীল মানুষের অভাব কতটা অপাচ্য ।
সমসাময়িক নানান দুশ্চিন্তা ও প্রচন্ড মানসিক উৎকণ্ঠা বুকে চেপে , যে মানুষটি রাতের অন্ধকারে অসহ্য যন্ত্রণায় কুঁকড়ে উঠে , ছটফট করে একা , সে মানুষটি জানে , একটা কথা শোনার মত মানুষের বিহীনতা কতটা ভয়ঙ্কর ।
পুরোপুরি পুরোদস্তুর কর্পোরেট মনোভাব নিয়ে যে মানুষটি দিনশেষে ক্লান্ত ও অবসন্ন হয়ে পড়ে , রাতের মোহনায় যার একটা ব্যক্তিগত মানুষ নেই । সে মানুষটি জানে , দিনের সমস্ত ক্লান্ততা দুর করে দিতে একটা কাছের মানুষের প্রয়োজনীয়তা কতটা আবশ্যকীয় ।
পৃথিবীতে যার একটা নিজস্ব মানুষ নেই , যার একটা কথা বলার মানুষ নেই , তার মতো অভাবী মানুষ আর কে আছে ? মানুষ তখনই প্রকৃত অর্থে গরীব , যখন তার একটা নিজের মানুষ থাকেনা । খাদ্যের অভাব পোষানো যায় , নিজস্ব মানুষের অভাব পোষানো যায়না। কোনো ভাবেই না ।