আমাদের এই মজার দেশে,
রাজা থাকেন ভীষণ সুখে।
যেমন খুশি তেমন সাজেন,
সদাই তিনি খোশ মেজাজে।
মনের মাঝে জমলে কথা,
মন খুলেন বেতার যন্ত্রে।
খিদে উনার ভীষণ রকম,
তাই সর্বগ্রাসী ঢেঁকুর ওঠে।
সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত নাকি উনি,
দেশের জনগণের হাহাকারে।
খেয়ালখুশি দেশ ও বেচেন,
নিজের ভালো ষোলআনা বোঝেন।
হঠাৎ দেখি বাড়াবাড়ি, তবেকি?
মতলব দাড়ি দেখিয়ে নোবেল চুরি!
মহা মহা বিজ্ঞেরা সব,
উনার সভা আলো করেন।
সভাসদরা নিত্য নতুন ফন্দি আটে,
কোন পথে ধর্ম ধ্বজায় দেশ চালাবেন।
বিঞ্জান নাকি ভীষণ ভরা বদ-ঞ্জানে,
মানুষ গড়তে চান তাই গো-ঞ্জানে।
বেকার সমস্যা করলেন সমাধান,
শিল্প হোল পকোড়া দোকান।
ভাণ্ডারে ছিল যা সঞ্চিত,
সবি খেলেন তুতো ভাই মিলেমিশে।
যদি প্রশ্নে উঁকি দেয় কোন মাথা,
দেশদ্রোহী ঘোষণা করেন সাথে সাথে।
সঙ্গে রাখেন বশীকরণ যন্ত্র,
ধর্ম মিশিয়ে পাঁচনে করেন সব শান্ত।
যেই নামল বিশ্ব জুড়ে মহামারী,
সুযোগ বুঝে সাজলেন উনি ধন্বন্তরি।
দেশ জুড়ে যখন মৃত্যু মিছিলে হাহাকার,
উনি তখন বিদেশ হতে নাম কামান।
রামের রাজ্য ভীষণ ধর্ম প্রাণ,
নদীর বুকে ভাসে তাই সদ্য হারানো প্রাণ!
তবু দেখি রাজা দিব্যি আছেন,
এক বিন্দু অনুতাপ নেই মনের কোণে।
ভিক্ষার থলি হাতে নিষ্পলক অপেক্ষাতে,
জনসমুদ্র হতে রাজার জয়ধ্বনি আসে ভেসে।
হাস্য মুখে রাজা আসেন,
মুষ্টি ভিক্ষা জনসমুদ্রে ছুঁড়েন।
ভিক্ষা দানায় ভাগ্য খুঁজে,
ওরা ঘর মুখো হয় জয়োল্লাসে
ওরাই তো সেই জনগণ,
যারা রাজ দম্ভ টিকিয়ে রাখেন।
দেশ লুটে যায় রাজার দম্ভ,
তাই রাজা আছেন খোশ মেজাজে।