গ্রীষ্মের দাবদাহ তোমায় ছুঁয়েছে যত,
দূর হতে মোর অন্তরে জেগেছে দুঃসহ ব্যাকুলতা।
সময়ের গতিপথে বহমান ধারা বেয়ে,
ভিন্ন পথ তবু মোহনায় ছুটে চলা।
হঠাৎ সে এক বর্ষণমুখর দিনে,
অনুভবে বানভাসি হয়েছি তোমার আগমনে।
শিহরণে শিহরণে হয়েছি চঞ্চল,
তোমাতে নিঃস্ব সেই হতে মোর অন্তর।
শরতের ঘনঘটা আকাশের গায়,
মন আর বন জুড়ে কাশ সমাচার।
সে প্রথম পাশাপাশি হাতে রাখা হাত,
নিস্তব্ধ জোৎনায় মিলিত দির্ঘশ্বাস।
মুক্ত ছড়ানো শিশির কনায় হেমন্ত আগমন,
নবান্নের মুগ্ধতা ভরা দেখি তোমার দুনয়ন।
তোমার ঐ খোঁপা জুড়ে কামিনীর দল,
মিলেমিশে রচে চলি মোরা কত মধুক্ষণ।
মিঠেকড়া রোদ্দুরে কুয়াশার চাদর মুড়ে,
কনকনে শীত আসে আন্তরে উষ্ণতা ভরে।
প্রেমের আকুলতা সেই উষ্ণতা মাপে,
জীবনের সহস্র দোলাচল উপেক্ষা হতে।
পলাশের আগুনে ভরে ওঠা ফাগুনে,
বসন্তের ভোর জাগে ককিলের মিঠে সুরে।
নব পল্লবে যৌবনে ভরে ওঠা ঋতুরাজ,
দিয়ে চলে চিরন্তন প্রেমের স্নিগ্ধ বাতাস।