স্টেশনের পাশে পুরাতন পাটের বস্তা দিয়ে
তাবুর মত ঘরে করিমনের বাস। স্বামী আছে
সন্তান আছে সবই অকর্মার ত্রাস । করিমন বাসা
বাড়িতে করে ঝিয়ের কাজ । কখনো সহদেবপুর
হিন্দু বাড়িতে আবার কখনো রামপুরে মুসলিম ঘরে।
করিমনের স্বামী রহিম মিয়া খায় আবার ইয়াবা
বিড়ি টানে সুখ সুখ চোখে। পোলাটা কাজ করে স্টেশনে বসে , রোজ জুতা পালিশ জুতা পালিশ চিৎকার করে বলে । রাজা বনে গাজা টানে চোখ মুখ লাল করে ঘুমিয়ে যায় কদম তলায়।
করিমন একদিন যায় না কাজে , রহিম মিয়াও চুপ থাকে। বলে ওগো শুনছো শরীরটা ভালা না দাও না একটু ভালোবাসা । রহিম মিয়া চেপে ধরে মুখটা করিমনের , তারপর দুইটা ঠোক্কর মারে ... ।
করিমন বলে ইস্ ছাড়োরে ভালোবাসার রাজ্যে আজ আমি রাণীরে ।