চল্লিশ বয়সী নারীর ছবি দেখে ড্রাইভার বলে আপু চমৎকার। আপনজন কিংবা প্রিয়জন আজ চাপা পড়ে কালো বিবর্ণ স্মৃতিতে। ড্রাইভার হাতের কারুকাজ চালায় বার্থরুমে। তাই মাঝে মাঝে খবরের কাগজে পড়ি মেয়েটাকে জাপটে ধরতে পড়ে গেল চাকার নিচে। অথবা প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালের বেড়ে । আমি বাবা! দু’ফোটা অশ্রু জল বিলিয়ে দিই মেয়েটার ব্যথিত ললাটে।
আমিতো বাবারে। হাসপাতাল ও থানা, আমার দু’পায়ের ধুলায় আদর ভালোবাসা ও মানবতা মিলিয়ে যায়। পুলিশ জানতে চায় কোথায় হাত দিয়েছে,কতজন উপরে উঠেছে।আর ডাক্তার বার বার কাটে বুক পকেটটাকে । তবুও চলি, আমি যে তোর বাবারে। উকিল একটা কাগজ হাতে দিয়ে বলে লড়তে হবে কোমর শক্ত করে। প্রথম দিনে সুশিক্ষিত জজের সামনে প্রতিপক্ষের প্রশ্ন,কাপড় খোলা নিয়ে। শত শত মানুষ হাঃ হাঃ করে উঠে। আমি লজ্জায় ঝাঁপ দিয়ে দিই রাষ্ট শাসনকারী কোন ভদ্র লোকের গাড়ির নিচে।