হঠাৎ ঝড়ে লন্ডভন্ড, ওলট-পালট দেশ,
চিন্তায় পড়ে পাক ধরালো বুদ্ধিজীবির কেশ।
এটা হলে কেমন হতো, ওটাই বোধ হয় ঠিক ;
ভেবে চিন্তে মহারাজা সিদ্ধান্তটা নিক।
না না এটা ঠিক হবে না, মস্ত বড় ভুলে,
বাড়বে বিপদ লাগলে জটা মহারাজার চুলে।

পাইক ডাকো, পেয়াদাটাও যায় না যেন বাদ;
বন্ধ ঘরে মিটিং হবে, ভাঙতে পাতা ফাঁদ।
মন্ত্রী এলো, শান্ত্রি এলো ঘোড়ার খুরে ধূলো,
আমজনতার সামনে দিলো ঝুলিয়ে আস্ত মুলো।

মূলোর গন্ধে বিভোর হলো আমজনতার দল
রাজার নীতি দেখায় কেবল শতেক পদের ছল।
আশার ভেলা ভাসিয়ে দিলো শুকনো ডাঙায় তারা
চাষা এবার বাঁচবে আশায়, ভেবেই দিশেহারা।

ভাবলো চাষা এবার বুঝি ভরবে গোলা ধানে,
মহারাজার চামচারা কয়, মরবি এবার প্রাণে।
আশার সাথে চাষার বসত এক দু দিনের নয়,
উল্টে গেলে রাজার পাশা, নির্ঘাত অবক্ষয়।

ভেবে ভেবে পাগলপারা রাজার বুদ্ধিজীবি,
উল্টো পাল্টা দানে কি আর বাঁচবে রাজার গদি?
জ্বালাও পোড়াও নীতি ধরে বাঁচাও রাজার গদি,
উপায়হারা গোলাম হোসেন; হোক কিছুটা ক্ষতি।