কবি মানেই প্রকৃতি প্রেমিক, কবি মানেই সুন্দরের সন্ধানী। যেখানে সুন্দর, যেখানে প্রকৃতি সেখানেই কবির বিচরণ। লামা কবিদের জন্য অসাধারণ একটা ভ্রমণের জায়গা, আমি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই হলফ করে বলতে পারি। আগামী ৩ এবং ৪ মার্চ লামায় যাওয়ার চমৎকার একটা সুযোগ আছে। আসরের কবি ভাই বোনদের এ খবরটা জানানোর লোভ সংবরণ করতে পারলাম না। কারণ যিনি একবার যাবেন তিনিই মুগ্ধ হবেন এবং আমাকে একটা ধন্যবাদ দিতে মোটেও কার্পণ্য করবেন না। আর ঐ ধন্যবাদটুকু আমার জন্য এক বিরাট পাওয়া।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন থেকে এ সাফারীর আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা থেকে বাস যাবে ২ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে। শুক্রবার ভোরে লামায় পৌঁছে যাবেন। অনাবিল সবুজের সান্নিধ্যে মুহুর্তেই ভুলে যাবেন সারা রাতের ভ্রমণের ক্লান্তি। টানা দুই দিন পাহাড়ে ঘুরে বেড়াবেন, ঝর্ণার জলে অবগাহন করবেন, নৈঃসর্গিক প্রকৃতি দেখবেন, নিজ চোখে লাইভ দেখবেন সুবিধা বঞ্চিত বাচ্চারা একটু সুযোগ পেলে তাদের মেধাকে কিভাবে বিকশিত করতে পারে। দেখতে পাবেন ওদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আবার শনিবার অর্থাৎ ৪ মার্চ রাতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে নিজেকে ঝরঝরে চাংগা করে বাসে উঠবেন। ইনশাল্লাহ ভোরবেলা ঢাকা পৌঁছে যাবেন। আপনার কোন কর্মদিবসই বাঁধাগ্রস্থ হবে না।
ঢাকা থেকে বাসে ওঠার পর এবং ঢাকায় এসে নামা পর্যন্ত আপনার পুরো দায়িত্ব ফাউন্ডেশনের। আপনাকে কোন চিন্তাই করতে হবে না। আপনার খাওয়া দাওয়া, থাকার ব্যবস্থা এমনকি চায়ের দায়িত্বটাও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের।
ফি? মাত্র ২৫০০ টাকা, ছাত্র বা ছাত্রী হলে ২২০০ টাকা। ঢাকার বাস ছাড়বে কাকড়াইল ওয়াইএমসিএ থেকে। আর যারা মিরপুরে আছেন তাঁদের জন্য আরো সুখবর মিরপুর থেকেও বাস যাবে।
আমরা কবিরা কি নাম মাত্র এই খরচে প্রকৃতির এই নিবিড় সাহচর্যে যাওয়ার সুযোগটা নিতে পারি না? আসরের ভাই বোনেরা ওখানে কি একটা মিলন মেলা তৈরী করতে পারি না?
আবার বলছি এ এক অসাধারণ সাফারি!! পাহাড়ের দেশে সবুজের পাশে কে কে যাবি আয়..............................