চলি আর ফিরে দেখি বারবার পিছে
হিসেব কষে মরি কি কি মোর গ্যাছে।
হায় হায় করে মন, মুখ করি ভার,
কত কিছু হবে আর চাইতে আমার।
গাড়ী নেই, বাড়ী নেই, নেই মনে শান্তি;
নেই নেই করে শেষে ভর করে ক্লান্তি।
হুশ করে পাজেরোটা ক্রস করে যেই যায়
পাঁজরের কষ্টটা চেপে রাখা বড় দায়।
এরপর চেয়ে দেখি চাকরীটাও মন্দ
রাগে ক্ষোভে মনে হয় হয়ে যাই অন্ধ।
দাঁতগুলো কেলিয়ে যেই দেয় সংবাদ
প্রমোশন শুনে তার জীবনটা বরবাদ।
ছেলে তার খুব ভালো, মেয়েটাও স্মার্ট
পিত্তেটা জ্বলে যায় দেখে তার ঠাঁটবাট।
এরপর থাকে বলো বেঁচে থাকার ইচ্ছে?
জীবনের সব সুখ ওরাইতো নিচ্ছে!
দিনে দিনে বেড়ে যায় জীবনের বোঝাটা
দুরূহ হয়ে যায় পথটাও খোঁজাটা।
এই ভালো দেই আজ জীবনটা করে শেষ
রাখবো না যন্ত্রণার আর কোন অবশেষ।
ভেবে ভেবে পথ চলি, ডানে বামে চাই না,
মনে হয় কেউ ডাকে, শুনতে তা পাই না।
এই শোনো চিৎকারে উঠি আমি চমকে,
আনমনে কোথা যাও বলে ওঠে ধমকে।
শুনে মোর জীবনের অজস্র কষ্ট
দেখি সে হলো না মোটেও আড়ষ্ট!
হাত ধরে ধাই ধাই করে সে ছুটলো
চেয়ে দ্যাখো অনাথের পাতে ভাত জুটলো!
ফ্যাল ফ্যাল চেয়ে রয় নিষ্পাপ দৃষ্টি
পুরো গা ভেজা তার ঝড়ো হাওয়া বৃষ্টি।
চাল নেই ঘরে তার, উনুনটাও বন্ধ
এরপরও হতাশায় হয় নি সে অন্ধ।
আজ নেই, কাল হবে, নয় হবে পরশু
আশা নিয়ে বেঁচে থাকে মুছে তার অশ্রু।
মুহুর্তে ফিরে পাই ঝাঁকি খেয়ে সম্বিৎ,
এরাই তো গেয়ে যায় জীবনের জয়গীত।