..
সেদিন রাত তিনটে বেজে পনেরো
শ্রাবণ আর বর্ষার বিদায় লগ্ন।
আর নাবিক ছিল অঢেল প্রীতিতে মগ্ন।
বিশাল নীল জলরাশির বুকে প্রথম প্রেমের তৃষিত নাবিক।
কত দিন চোখে দেখেনি সে সবুজ অরণ্য।
সারা দিন রাত অথৈ জলের সাথে কথা হয়।  
এইতো আর ক'দিন
যাত্রা করবো প্রিয় চট্টলার নৌবহরের খোঁজে।
দেখা হবে হরিনীর সাথে।
দিন শেষে সাগরের বুকেই ঘুম।
আর গভীর ঘুমে তাঁর সাথে দেখা।
সমুদ্রের গর্জন আর আকস্মিক তান্ডবলীলায়  
ঘুম হতো না ঠিক মত।
মৃত্যুর ভয় সেখানে ছিল প্রতিনিয়ত।
এই যে বিরূপ প্রকৃতির প্রতিদিনের তান্ডব
আর মৃত্যু নামক এক মহাভয়  
দুয়ে মিলে তছনছ হয়ে যেত প্রীতির সাগরে।
সে এক আচানক হলেও মজার অভিজ্ঞতা।
তখন গভীর রাত
দূরে নোঙ্গর করা জাহাজগুলো
একেকটা ছোট গ্রামের মত সারিবদ্ধ।
বাতাসে শীতের অনুভব
পাশে বসে সিগারেট টানছে বন্ধু মাহিয়ান।
রাত শেষ হয়ে আসছে প্রকৃতিতে
সকালে নাবিকদের জাগরনাদেশ।
শান্ত সাগর, সূর্য জাগবে বলে প্রস্তুত।
লাল আভায় প্রকৃতির স্বর্গীয় রূপ
নাবিক তখনো প্রীতির সাগরের নির্ভীক যাত্রী।
যেখানে সংযোগ ছিল না তারহীন কথামালার
অথচ কি চমৎকার কথা হত দুয়ে মিলে।
নির্ভেজাল প্রেম; সীমাহীন প্রীতিতে ভরা সময়।
হাতে অস্ত্র, কোমরে প্যাঁচানো তাজা বারুদ
তাতে কি? নাবিক তখনো অসীম প্রেমের শাহজাহান।    
এক দিকে দেশ; আরেক দিকে কল্পনার রাণী।
দুয়ে মিলে এক প্রানবন্ত প্রেমের পথচলা।
প্রথম দেখা প্রবালের দেশে, দ্বীপের চোরাবালির কাছে।
আরেকবার এক সাগর কূলে।
আর দেখা মেলে নাই তাঁর।
আবার সময়ের দীর্ঘ বিরতিতে
দুয়ে মিলে দু দিকের পথ চলা।
জমা রইল মধুর প্রেম; হয়ে গেল মধুর স্মৃতি
এমনি ছিল ভালোলাগায় ভরা নাবিকের প্রীতি।  

রচনা কাল (২০১২ তে; কবিতাতে শিল্পকর্ম/কারুকার্য চলমান)