কেহ কি,
পাহাড়ের নিচতলে দাঁড়িয়ে
পাহাড় ফাটলের স্বপ্ন দেখেছো ?
কি ভয়ংকর উচ্চারণ !

কেহ কি,
আকাশের বারি বর্ষণকে
চিরতরে আসার মিনতি করছো ?
কি অদ্ভুত চাওয়া !

কেহ কি,
পৃথিবীতে শুক্রগ্রহের সর্বোচ্চ
তেজোদ্দীপ্ত রোদের কামনা করেছো ?
কি অসম্ভব বচন !

কেহ কি,
সদ্য ফুটন্ত ফুলের
ঝরে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করেছো ?
কি অস্থিরতা চিন্তা !


তবে কেমন করিয়া ছোট জীবনক্ষণের
আকস্মিক মৃত্যু কামনা করি ?
কতটুকু যন্ত্রণাই বা পেয়েছি --  পৃথিবী গ্রহে।

পাহাড় ফাটলের চিন্তা কখনো আসেনি,
কিন্তু ফাটল ধরে -- সময়ের স্রোতে।
আকাশে বারি বর্ষণ সারা বছর চাওয়া হয় না,
কিন্তু বারি বর্ষণ হয় -- সময়ের প্রভাবে।
শুক্রগ্রহের তিনশত ডিগ্রি তাপ সর্বক্ষণ বিদ্যমান,
পৃথিবীতে চল্লিশের বেশি হলে মরন যন্ত্রণা।
তাও তমোগুণে আসে এই বিপুল প্রখরতা,
মিশিয়ে দেয় ঘাম আর নদীর জল' কে।
সদ্য ফুটন্ত ফুলও ঝরে যায়,
কোনো কামনা-বাসনা ছাড়া--
কেবল সময়ের অনূকূলে।

সবই যদি সময়ের সাথেই ঘটে
তাহলে আমি কেন এমন অসম্ভব ইচ্ছে পোষণ করি ?
হয়তো ভুলে যাই এই রঙ্গমঞ্চের খেলায়,
ডুবে যাই সাগরের মাঝপথে আসা ভেলায়।
হয়তো অসহ্য চিৎকারের মহাযাত্রার কথা,
নিতান্ত তুচ্ছ জীবনের অল্প-স্বল্প ব্যথা।

নয়তো কিছু গভীর কথার ফাঁদে,
কুমিরের দল এনেছি করে কাঁধে।
এই তাড়নায় পিছলে পড়ি নিচ -তলে,
জীবন-বন্দনা কাটে ভুলে ভুলে।