আকাশে লক্ষ্য তারকারাজি
অনন্তকাল জ্বলেও পৃথিবীকে আলোকিত করতে ব্যর্থ।
তবে সূর্য থেকে ধার করে রাতের আঁধার দূরে ঠেলে
স্নিগ্ধ জোছনার আলোয়, এই ধরণীকে
ভালোবাসার চাদরে ঢেকে দেয় শুধু একটি চাঁদ।
দিনের রদ্রতাপে যে সূর্যকে প্রত্যাখ্যান করি চরম বিরক্তি নিয়ে
রাতের আঁধারে তারি প্রতিবিম্ব কে গ্রহণ করি কতনা ভালোবেসে!
ভালোবাসার আবেশে মাখামাখি হয় প্রেমিক প্রেমিকার মন।
তারা হয়তো ভুলে যায় অন্তরালে থাকা সূর্যের অবদান।
ভুলে যায় কখনো এই সূর্য অভিমান করলে
এই ধরণী নিমজ্জিত হবে অনন্ত আঁধারির খেলায়।
জীবনের সূর্যটা অস্তগামী, চারিদিকে ঘিরে ঘোর অমানিশা
স্মৃতিগুলো দূর নক্ষত্রের মতো মিটি মিটি জ্বলছে
যে আলোয় আলোকিত হয় না মনের শহর।
চাঁদ খানা তো অনেক আগেই মুখ লুকিয়েছে মেঘের অন্তরালে
যে মেঘ হতে আজো বৃষ্টি নামে দুটি নয়ন পাতে,
সে বৃষ্টি তোমাকে ভিজাতে পারে না, না পারে অন্তরের আগুন নিভাতে।
জানি আসবে না ফিরে, ভালোবাসার আলিঙ্গনে আবদ্ধ করবেনা কখনো,
তবুও কিছুতেই বোঝেনা অবুঝ মন।
মাঝ সমুদ্রে ডুবতে থাকা কোন মানুষ
যেমন অসহায় হয়ে অন্তর থেকে বিধাতার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করে
ঠিক ততটাই ব্যাকুল হয়ে আছি তোমার একটি স্পর্শের আশায়।
ভালোবেসে নয় ঘৃণা ভরে একটা আঘাত করো এই গালে
তবুও জীবন সার্থক হবে তোমার স্পর্শ পেয়ে।
তোমাকে পাওয়ার যে রঙিন স্বপ্ন দেখতো দুচোখ
তা আজ ধূসর অতিত।
বাস্তবতার সামনে নিজেকে সোপর্দ করেছি
দেখেছি রঙিন পৃথিবীর নিষ্ঠুর আঘাত, মুখ বুজে সহ্য করে চলেছি সব,
নিজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলা যায় প্রিয়জনের বিরুদ্ধে তো নয়।


কৃতজ্ঞতা: লেখাটির শিরোনাম দিয়েছেন আমার অত্যন্ত প্রিয় ভাই 'ওবায়দুল হক'