ঐ মোড়ের যুবক ছেলেরা, টেলিফোনে বন্ধুবান্ধব
সবাই কথাবার্তার মাঝে স্পষ্টই জানিয়ে দিল-
চোদ্দই ফেব্রুয়ারী নাকি "ভালোবাসা দিবস"।
সত্যিই কি তাই???
নাকি আমার কোন আদুরে বোনের
সতীত্ব বিসর্জন দিয়ে ধর্ষিত হওয়ার দিবস???
নাকি আমার মতো দূর্ভাগ্য কোন বাবার রাজকন্যার
কুমারী অবস্থায় গর্ভবতী হওয়ার দিবস???
না জানি কত প্রেমিকরূপি নরপিশাচ
তার লেলিহান জিহ্বায় হায়নার মত
লেহন করবে আমার মেয়ের দেহখানি।
না জানি রাস্তার কত পাগলা কুত্তা
তার লোলুপ দৃষ্টির বদলে কামনা সিক্ত
বিষাক্ত দাঁতে ছিঁড়ে খাবে আমার বোনের
হিজাব,শাড়ি,পায়জামা-য় ঢাকা কোমল অঙ্গখানি।
মার্জিত সমাজ এধরনের বেহায়াপনাকেই বলে,
এটাই সভ্যতা, এটাই সংস্কৃতি।
আমি তাঁদেরকেই বলি,,,,,,,,,
ভালোবাসা ঈশ্বরের দান,
জাতি,ধর্ম,বর্ণ,সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে-
দুটি মনের একাত্ম হওয়া,
ধুলির ধরায় সুখী হওয়ার প্রশস্ত রাস্তা,
ধরণীর বুকে স্বর্গ সৃষ্টির মাধ্যম।
আমি তাঁদেরকেই বলি,,,,,,,,,
ভালোবাসা কোন তাসের ঘর নয়,
নয় চুম্বনে চুম্বনে প্রেমিকার শরীরে শিহরণ জাগানো,
নয়কো ছেড়ে যাওয়ার অজুহাতে-
সতিত্ব হরণ করে প্রেমিকার যোনিতে
প্রেমিকের অবৈধ বীর্যপাত।
স্নায়বিক তাড়না ও নগ্নতাকে বিসর্জন দিয়ে
ভালোবেসে যদি ভুবন ভরাতে বলি,
তবেই সভ্যতার মুখোশ পরা
সৃষ্টির আদিম খেলায় মত্ত
ভালবাসার দোহাই দিয়ে নগ্নতাকে সমর্থন করে
আজকের একদল সভ্য সমাজ বলবে,
"আমি নাকি বিকৃত মস্তিষ্ক"।
==||==
তাং : ১৩ই ফেব্রুয়ারী ২০২১
সাতক্ষীরা।
[বি:দ্রঃ অশ্লীল শব্দ প্রয়োগের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী]