(এই আলোচনায় তিন-চারটে অপ্রিয় শব্দের প্রয়োগ শুধুমাত্র আলোচনায় সামন্জস্য বজায় রাখার জন্য)
আমার এক পুরনো বন্ধু হাংরি জেনারেশন এর অনুগামী কবি(স্বল্প প্রতিষ্ঠিত)।সেদিন আড্ডায় বলছিলেন--পুনরাধুনিক কবিতা মানে মূলস্রোতের বিরোধাভাস--কিছু শব্দের ব্যবহার করে উপস্থাপনায় টুইস্ট আনা। উদাহরণস্বরূপ বললেন মহান কবি রফিক আজাদের
'ভাত দে হারামজাদা'র কয়েক পংতি।
(ভাত দে হারামজাদা)
কবি রফিক আজাদ
"দৃশ্য থেকে দ্রষ্টা অব্দি ধারাবাহিকতা খেয়ে ফেলে
অবশেষে যথাক্রমে খাবো,গাছপালা নদী-নালা,
গ্রামগঞ্জ,ফুটপাথ,নর্দমার জলের প্রপাত,
চলাচলকারী পথচারী,নিতম্ব-প্রধান নারী---
উড্ডীন পতাকাসহ খাদ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর ---
আমার ক্ষুধার কাছে কিছুই ফেল্ না নয় আজ।
ভাত দে হারামজাদা,তা-না হলে মানচিত্র খাবো"
তিনি হলে এই কবিতা কি ভাবে লিখতেন জানালেন---
(ভাত দে 'শুয়োর এর বাচ্চা')
কবি পুনরাধুনিক
'দৃশ্য থেকে দ্রষ্টা অব্দি ধারাবাহিকতা খেয়ে ফেলে
অবশেষে যথাক্রমে খাবো,গাছপালা নদী-নালা,
গ্রামগঞ্জ,ফুটপাথ,নর্দমার জলের প্রপাত,
চলাচলকারী পথচারী,'পোঁদ-প্রধান' নারী
উড্ডীন পতাকাসহ খাদ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর 'চুতিয়াগিরি'
আমার ক্ষুধার কাছে কিছুই ফেল্ না নয় আজ
ভাত দে শুয়োর এর বাচ্চা,তা-না হলে মানচিত্রের 'যৌনাংগ' খাবো।'
ভাবছি কবি রফিক আজাদ জীবিত থাকলে কি বলতেন আর পাঠকই বা কি বলেন?