ভুলে যাও সব রক্ত

সব গেছে, যা আমাদের গেছে, আছে যা, তা সবই আমাদের।
একদিন আমার ভাই রক্ত খেলো-আমার ভায়ের,
বলো আমি কি করে তার রক্ত নেবো?-আমার রক্তের মত রক্ত!  '
যা আছে, আমাদের আছে,যা গেছে চলে আমাদেরই গেছে।
হৃদপিণ্ড খননে রক্ত খাল গেছে হয়ে,বুকের পাঁজর ধ্বসে গেছে
কষ্ট ভারে, তবুও তাল পাতার ছাউনি গেড়েছি তাবু ।

এসো, ভালোবাসবো-মায়ের সন্তান ,এক দিন কেঁদেছি উলোঙ্গ বলে,
এখন কাঁদিনা আমার ভাই বিকলঙ্গ, একদি দেখেছি সব মানুষ
এক খোদায় বিশ্বাসী। এখন দেখি কোটি মানুষ -প্রভুর মৃত্যু রচে।
তাই ভুলে গেছি আজ সেই রক্ত প্রান্তর বেদন।
ভুলে গেছি ক্ষুদার্ত হয়ে গিলেছি নর্দমার পুঁজ।
হজম হয়ে গেছে পর্বতভার কত কথা।
বুকের ব্যাথায় আকাশ নীল হয়ে যেত-
এখন সেই আকাশে ভায়ের রক্ত বিকেল।

সব ভাই, আমার ভাই, সব যা গেছে, আমার গেছে,
এখন চার পাশে এক মায়ের মানিক রতন,
মাকে সাঁজাবো, ধুয়েমুছে রক্ত সরাবো, সবুজের শাড়ি
উপহার দেবো,  কপলের লাল রক্তটিপ ঢেকে দেবো,

ভুলে গেছি হায়নার কামড়, ঢেকে দেবো মাংসের দাগ
সার্জারি করে।ভুলে যাবো শকুন মগজ নিয়ে খেলেছে,
উলঙ্গ সভ্যতায় ফিকে হয়ে যায় লজ্জা ।

তবুও যা গেছে আমার গেছে,যা আছে আমাদের আছে,
-মায়ের সন্তান ।সামনের ভাত কুকুর খেয়েছে ,
খেয়েছে কাক, যাক, যা হয়েছে , হয়েছে,
দেবোনা কাউকে হারাতে-মায়ের সন্তান ।

হাজার রাত অনিদ্রায় ফেড়ে গেছে লোচন,
রক্তঅশ্রুতে মায়ের সংসার ভাসে তটিনী।
তার পর ভুলে যাই মায়ের সন্তান বলে,
ভুলে যাবো মা কাঁদবে বলে তারপর ভুলে গেছি।